• অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
  • " />

     

    প্রোটিয়াদের ঘরে হোয়াইটওয়াশের চক্রে আটকে রইল অস্ট্রেলিয়া

    প্রোটিয়াদের ঘরে হোয়াইটওয়াশের চক্রে আটকে রইল অস্ট্রেলিয়া    

    টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে সফরের প্রথম ভাগ ভালোই কেটেছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে ওয়ানডেতে আবার ফিরে এল সেই পুরনো দক্ষিণ আফ্রিকা জুজু। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেল না অজিরা। একদিনের ক্রিকেটে ক্রমেই ‘দুর্বোধ্য ধাঁধা’য় পরিণত হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আরেকটি হোয়াইটওয়াশের অভিজ্ঞতা হলো অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৮ সালের ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশের পর আবারও কোনো ওয়ানডে সিরিজ থেকে খালি হাতে ফিরল তারা। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই নিয়ে টানা দুই ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো অজিরা। ২০১৬-১৭ মৌসুমে শেষবার যখন প্রোটিয়াদের ঘরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া, সেবারও নামের পাশে কোনও জয় ছিল না তাদের।

    অন্যান্য ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে লড়াই করে অস্ট্রেলিয়া। জয়-পরাজয় মিলিয়ে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত জমজমাট সিরিজ উপহার দেয় দুই দল। তবে ওয়ানডে আসলেই সবকিছু কেমন যেন একপেশে হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই অজিদের কাছে। এবার নিয়ে টানা তিন ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের কাছে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। যার মাঝে দুবার দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং একবার ঘরের মাটিতে সিরিজ খোয়া গেছে। অবশ্য ঘরের মাঠে ২০১৮-১৯ মৌসুমে একটি ম্যাচ জিততে না পারলে আজ হ্যাটট্রিক হোয়াইটওয়াশের দুঃস্বপ্ন সঙ্গী হত তাদের।

    ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল অপ্রতিরোধ্য। প্রথম ওয়ানডেতে তারা আগে ব্যাটিং করে হেনরিখ ক্লাসেনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে চড়ে ২৯২ রানের বড় লক্ষ্য দাড় করায় অজিদের সামনে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লুঙ্গি এনগিডি-আনরিখ নরকিয়াদের বোলিং তোপে ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। পার্লে ৭৪ রানের এই বিশাল হার দিয়ে সিরিজ শুরু হয় তাদের। এরপর ব্লুমফন্টেইন এবং পচেফস্ট্রুমেও অজিদের উপর দিয়ে রোলার-কোস্টার চলেছে। দুই ম্যাচেই সমান ৬ উইকেটের ব্যবধানে হেরে ঘরে ফিরেছেন অ্যারন ফিঞ্চরা।

    দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ড আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের কাছেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। গতিময় ক্রিকেটে এক মুহূর্তের জন্যও অজিদের দম ফেলার ফুরসৎ দেননি তারা। চেনা আঙ্গিনার পূর্ণ সুবিধা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা সময়মত জ্বলে উঠেছেন সবাই। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রতিটি ম্যাচেই দু-একজন মুখ্য চরিত্রের উপর নির্ভর করে এগুনোর চেষ্টা করেছে। এই যেমন শনিবার এক মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাটই যা কথা বলেছে, সেটিকে পুঁজি করেই লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়েছে তারা। তবে ২৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে টপ এবং মিডল অর্ডারের তিন ফিফটিতে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অনায়াসেই দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গেছে। সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ১১ ওয়ানডেতে মোটে এক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ সিরিজ জয় এসেছে সেই ৯ বছর আগে, ২০১১ সালে। 

    অবশ্য এই সিরিজের পর বিশ্রাম মিলবে না দুই দলের কারোরই। ১২ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামতে হবে প্রোটিয়াদের, তার একদিন পর থেকেই তাসমান প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে অস্ট্রেলিয়া।