টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার জন্য 'সময়ের অপচয়'!
বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ। মাঝে ২ বছর। মাত্র ১১টি ম্যাচ। এর মধ্যে তিনটি এখনও বাকী। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর সামনে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য আসরের মাঝের সময়ে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান এমনই। এ ১১ ম্যাচের ‘সম্বল’ নিয়েই অস্ট্রেলিয়া ভারতে যাবে, নিজেদের মুকুটে অধরা এক পালকের খোঁজে।
অস্ট্রেলীয় সামারের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট সিরিজের পর ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, এরপর কিউইদের সঙ্গে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া এরপর যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এ কয়েকটি ম্যাচ খেলাটা পর্যাপ্ত মনে করছেন না সাবেক অস্ট্রেলীয় পেসার রায়ান হ্যারিস। আর প্রস্তুতি না নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ আসর খেলতে যাওয়াটাকেও মনে করছেন ‘সময়ের অপচয়’!
ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোট ১৯ জন খেলোয়াড়কে ‘বাজিয়ে’ দেখেছে অস্ট্রেলিয়া, লাভ হয়নি খুব একটা। হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তাই বিশ্বকাপের জন্য সেরা একাদশ বাছাইয়ের পদ্ধতি নিয়েও!
ভারতের সঙ্গে শেষ টি-টোয়েন্টি আর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ওয়ানডে, মাঝে বিরতি মাত্র তিনদিনের। গত অ্যাশেজের আগে অবসরে যাওয়া পেসারের কাছে এ ব্যস্ত সূচীকেও মনে হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে একটা বাধা, ‘এরকম সূচী আপনাকে সেরা দলটা বাছাই করতে দিবে না। আপনার কাছে ওয়ানডে দল আছে, যারা বোধয় আপনার টি-টোয়েন্টি দলেরই অর্ধেক অংশ, যাদেরকে নিউজিল্যান্ডে ছুটে যেতে হয়েছে।’
তবে ‘সেরা একাদশ’টা খুঁজে পেলে অস্ট্রেলিয়া ভালই করবে বলে আশা হ্যারিসের। আশা আছে ড্যারেন লেম্যানেরও। তবে সমস্যাটা অস্বীকার করছেন না অস্ট্রেলিয়ার কোচ, ‘দলটা(ভারতের সঙ্গে টি-টোয়েন্টির অস্ট্রেলিয়া দল) একসঙ্গে নিয়মিত খেলেনি। বিশ্বকাপ সন্নিকটে, উপযুক্ত সমাধানটা আপনাকে খুঁজে পেতেই হবে। আমাদের এখানে(ভারতের সঙ্গে) কিছু খেলোয়াড় আছে, নিউজিল্যান্ডে কিছু আছে(নয়জন আগেই গেছেন নিউজিল্যান্ড), আমরা বিগব্যাশ লিগের পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তরুণ কিছু খেলোয়াড়দের ওপর আমাদের নজর আছে। সমস্যাটা কঠিন, তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা কিছু আত্মবিশ্বাস নিয়েই যাব।’
এ আত্মবিশ্বাস কি পারবে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টির অধরা শিরোপাটা এনে দিতে?
নাকি রায়ান হ্যারিসের কথাটাই সত্যি হবে, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়টাই অপচয়!’