• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    কর্মীদের ছুটিতে পাঠালো লিভারপুল, ক্ষুব্ধ ক্যারাঘার

    কর্মীদের ছুটিতে পাঠালো লিভারপুল, ক্ষুব্ধ ক্যারাঘার    

    করোনা ভাইরাসের কারণে ফুটবল অনির্দিষ্টকালের জন্য থমকে গেছে। ঠিক কবে নাগাদ আবার ফুটবল মাঠে ফিরবে, তা আপাতত অনুমান করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় ক্লাবগুলো নিজেদের অর্থনৈতিক হিসাব-নিকাশ ঠিক রাখতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কেউ খেলোয়াড়দের বেতন কমিয়ে দিচ্ছে তো কেউ আবার নন-প্লেয়িং স্টাফদের পাঠাচ্ছে বাধ্যতামূলক ছুটিতে। নন-প্লেয়িং স্টাফদের এমনই এক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আপাতত সাবেক খেলোয়াড় জেমি ক্যারাঘারের রোষের মুখে পড়েছে লিভারপুল। ক্যারাঘারের মতে, বাৎসরিক বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেও কর্মচারীদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সব মান খুইয়েছে লিভারপুল।

    প্রিমিয়ার লিগের অন্য বেশ কয়েকটি ক্লাবকে অনুসরণ করে নন-প্লেয়িং স্টাফদের সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়েছে লিভারপুল। এই সময়টায় সরকারের ‘জব রিটেনশন স্কিম’-র আওতায় ৮০ শতাংশ বেতন পাবেন তারা আর বাকি ২০ শতাংশ দেবে লিভারপুল। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে লিভারপুল বাৎসরিক আয়ের হিসেব প্রকাশ করে, যাতে দেখা যায় গত মৌসুমে দলটি প্রায় ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড আয় করেছে আর মোট লেনদেন ছিল প্রায় ৫৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড, এছাড়াও দলটি রেকর্ড ৪৩ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছিল এজেন্টদের। আপাতদৃষ্টিতে কোনও অর্থসংকট না থাকার পরও নন-প্লেয়িং স্টাফদের সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়ে সরকারি স্কিমের উপর নির্ভর করাটাকে তাই খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না দলটির সাবেক ডিফেন্ডার ক্যারাঘার, এক টুইটে বিষয়টি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি, “ইয়ুর্গেন মহামারী শুরুর পরপরই সবার জন্য সহানুভূতি দেখিয়েছেন। সিনিয়র খেলোয়াড়রাও বেতন ছাড় দিতে প্রস্তুত। তবে এই এক সিদ্ধান্তে সেসব সম্মান এবং সদিচ্ছা, সব মুহূর্তেই হারালো লিভারপুল।”

    লিভারপুল সেই সিদ্ধান্ত নিতে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, “কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ক্লাবের সিনিয়র কর্মকর্তারা মিলে এই অভূতপূর্ব সময়ে ক্লাবের সবার চাকুরি নিরাপদ রাখার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। খেলা বন্ধের এই সময়ে বেতন কাট-ছাঁটের বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে এ ধরনের আলোচনাগুলো অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।”