• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    টিয়ার গ্যাস মোকাবেলা, রাসায়নিক যুদ্ধের প্রস্তুতি: সেনাবাহিনীতে যা করবেন সন

    টিয়ার গ্যাস মোকাবেলা, রাসায়নিক যুদ্ধের প্রস্তুতি: সেনাবাহিনীতে যা করবেন সন    

    টটেনহাম হটস্পার ফরোয়ার্ড হিউং মিন সন নিজ দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। গতকাল সোমবার ক্লাবের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে এ খবর।  দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ সপ্তাহের প্রশিক্ষণে সনকে কী কী কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি ধারণা দিয়েছেন দ.কোরিয়ার সামরিকবাহিনী এক সদস্য। তার তথ্য অনুযায়ী এই সময়ে টিয়ার গ্যাস মোকাবেলা, রাসায়নিক যুদ্ধের প্রস্তুতিও নেবেন এই ফুটবলার। 

    দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী দেশের সব নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণসহ অন্তত ২ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার পর ওই দুই বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সন। ২৮ বছর বয়স পুর্ণ হওয়ার আগে বাধ্যতামূলক ৩ সপ্তাহের মিলিটারি ট্রেনিং ও
    কমিউনিটি ওয়ার্কে যোগ দিচ্ছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এই মুহুর্তে খেলা না থাকায় তার ক্লাবের কাছ থেকেও অনুমতি মিলেছে সনের। তবে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রথম ১৪ দিন তাকেও কাটাতে হবে কোয়ারেন্টিনে।

    সেনাবাহিনীর ওই সদস্যের মতে ৩ সপ্তাহের ট্রেনিংয়ের শেষটা হবে ৩০ কিলোমিটার মার্চ করা দিয়ে, "সেনাবাহিনীতে আসলে আপনাকে গুলি ছুড়তে শিখতে হবে, বিষাক্ত গ্যাসের মোকাবেলা করে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে, হামাগুড়ি দিয়ে পথ পাড়ি দেওয়া শিখতে হবে। সাধারণত ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সময় তাদের কাঁধে ৪০ কেজি ওজন চাপিয়ে দেওয়া হয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা বিবেচনা করে সেটা অনেক কমিয়েও দেওয়া হয়।"-রয়টার্সকে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

    ফেব্রুয়ারিতে অ্যাস্টনভিলার বিপক্ষে ম্যাচে বাহুতে আঘাত পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন সন। এখন অবশ্য প্রায় সেরে উঠেছেন। ট্রেনিংয়ে যোগ দেওয়ার আগে পুরোপুরি সুস্থ্যও হয়ে যাওয়ার কথা তার। তবে সেনাবাহিনীর ওই সদস্য জানাচ্ছেন, সনের চোট পুরোপুরি সারাতে প্রয়োজন হলে তাদের পক্ষ থেকেই চিকিৎসকরা সেবা দেবেন তাকে।

    সব ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের ২০ তারিখে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা সনের।