• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    করোনা-পরীক্ষা না করে মাঠে নামবেন না মানে-আগুয়েরোরা?

    করোনা-পরীক্ষা না করে মাঠে নামবেন না মানে-আগুয়েরোরা?    

    ‘ইংলিশ লিগগুলো পুনরায় মাঠে গড়ানোর আগে সব খেলোয়াড়দের অবশ্যই করোনাভাইরাস টেস্ট করাতে হবে’-এমন মত দিয়েছেন লিগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশনের (এলএমএ) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড বেভান। ইউরোপ জুড়েই ফুটবল লিগগুলো কবে নাগাদ মাঠে গড়াতে পারে খেলা এবং তা খেলা কীভাবে সম্পন্ন হবে তার খুঁটিনাটি নিয়ে সাজাতে ব্যস্ত। ইংল্যান্ডেও গ্রীষ্মে ৫৬ দিনে সব লিগের বাকি অংশের খেলা সম্পন্ন করার একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এমন প্রস্তাবের খবর গণমাধ্যমে চাউর হওয়ার পরই সব খেলোয়াড়দের করোনা টেস্টের বিষয়ে জোর দিয়েছেন বেভান।

    তবে খেলোয়াড়দের টেস্টের আগে অবশ্যই করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং এনএইচএস কর্মীদের টেস্ট করার কথা বলেছেন বেভান, “ এই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এপ্রিলের শেষদিকের আগে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। জার্মানিতে মে মাসে লিগ মাঠে নামানোর কথা চলছে, কারণ তারা দিনে ৫০ হাজার টেস্ট করছে, আমরা এখনও ১০ হাজারের বেশি টেস্ট করতে পারছি না। যদিও মাসের শেষ দিকে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা ১ লাখ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

    “আমাদের ম্যানেজাররা খেলোয়াড়দের টেস্ট করানোর আগে খেলা শুরুর পক্ষপাতী নন। তবে যদি টেস্ট কিটের স্বল্পতা থাকে তাহলে আগে অবশ্যই রোগী, এনএইচএস কর্মী এবং সেবা কর্মীদের জন্য তা উপলব্ধ করতে হবে।”

    এদিকে ইংলিশ ফুটবল লিগের (ইএফএল) তরফ থেকে এই সপ্তাহে সব ক্লাবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে ৫৬ দিনে লিগের বাকি অংশ সম্পন্ন করার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি নিয়েও যারপরনাই নাখোশ বেভান, তার মতে এতো ব্যস্ত সূচিতে খেলা আয়োজনের প্রস্তাব তৈরির আগে ম্যানেজারদের জানানো প্রয়োজন ছিল, “প্রথমে আপনার ম্যানেজার এবং কোচদের সমর্থন প্রয়োজন। আপনি তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাদের পরামর্শ না নিয়ে শুধু একটি চিঠি পাঠিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না।”

    “একই সাথে খেলোয়াড়দের সদিচ্ছারও প্রয়োজন আছে, কারণ তাদেরকে মাত্র ৩ সপ্তাহের অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের ম্যাচ ফিট করে তুলতে হবে। আর এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য। খেলোয়াড়রা কতটা ফিট তা নিশ্চিত না হয়েই তাদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হবে না মোটেই। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া উচিৎ।”