• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সেপ্টেম্বরের আগে মাঠে গড়াবে না প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম?

    সেপ্টেম্বরের আগে মাঠে গড়াবে না প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম?    

    করোনাভাইরাসের ধকল এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইউরোপের দেশগুলো। তবে এরই মধ্যে ফুটবল পুনরায় কীভাবে বা কবে নাগাদ মাঠে ফিরবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ইংল্যান্ডে আগামী ৬ জুন থেকে দর্শকবিহীন মাঠে চ্যাম্পিয়নশিপ তথা দ্বিতীয় বিভাগের খেলা পুনরায় শুরুর কথা জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। এবার প্রিমিয়ার লিগও একই তারিখকে লক্ষ্য করেই চলতি মৌসুম পুনরায় মাঠে নামানোর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন। শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের সবকটি ক্লাবের শীর্ষ ব্যক্তিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও উল্লেখ করেছে তারা। তবে যদি জুনের ৬ তারিখ থেকে প্রিমিয়ার লিগ পুনরায় মাঠে না গড়ায়, তাহলে সেপ্টেম্বরের আগে লিগের আগামী মৌসুম শুরু করা কোনোমতেই সম্ভব হবে না।

    প্রাথমিকভাবে আগস্টের ৮ তারিখ থেকে ২০২০-২১ মৌসুম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটা ৫-৬ সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে, আর এটাও হবে যদি পর্যায়ক্রমিকভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে তবেই। ইংল্যান্ডে লকডাউন শিথিল করা নিয়ে ডিজিটাল, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম এবং ক্রীড়া বিভাগের (ডিসিএমএস) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে প্রিমিয়ার লিগ এবং ইএফএল। তবে তড়িঘড়ি লকডাউন শিথিল করলে গণস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির জন্য তা ব্যাপক ক্ষতিকর সাব্যস্ত হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইংল্যান্ড সরকার আরও ৩ সপ্তাহের জন্য লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব।

    তবে লকডাউনের সময় বাড়ানো হলেও প্রিমিয়ার লিগ জুন থেকে খেলা মাঠে নামানোর প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে একটি খসড়া সূচিও তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে ইএসপিএনের সূত্র। সেই সূচির হিসেবে পুনরায় খেলা শুরু হলে আগে দেশের লিগ প্রতিযোগিতাগুলো সম্পন্ন করা হবে, এরপর এফএ কাপের বাকি অংশের খেলা হবে। তবে ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ পরিকল্পনা কিছুটা গুছিয়ে আনলেও ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা নিয়ে এখনও ধন্দে আছে তারা। কারণ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাগুলোর ক্ষেত্রে দলগুলোকে মহাদেশের অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করতে হবে এবং বিদেশী দলগুলোকে আতিথ্যও দিতে হবে। আর এই বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে শীঘ্রই ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আসছে না।

    এদিকে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ২০১৯-২০ মৌসুম খেলার ব্যাপারে সমান্তরাল অবস্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইএসপিএন। লিগ মাঠে গড়াতে বিলম্ব হলেই এই মৌসুম মাঠে শেষ করেই কেবল আগামী মৌসুমের প্রস্তুতি নেবে তারা। তবে এক্ষেত্রে সময়ের কারণে আইনি জটিলতায় পড়ে যেতে পারে প্রিমিয়ার লিগের প্রায় সব ক্লাব। কারণ আগামী ৩০ জুন ক্লাবগুলোর সঙ্গে এই মৌসুমে চুক্তি শেষ হতে যাওয়া খেলোয়াড়রা ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবে। তাই ঐ সময়ের আগেই সেই খেলোয়াড়দের নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে ক্লাবগুলোকে, নতুবা নতুন জটিলতার মুখে পড়বে ইংলিশ ফুটবল।

    যদি জুনের নির্ধারিত সময়ে এই মৌসুমের খেলা পুনরায় শুরু করা যায় সেক্ষেত্রে লিগ শেষ হবে আগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে। এরপর ৭ থেকে ১৪ দিনের একটি বিরতি দিয়ে তবেই শুরু করা যাবে পরবর্তী মৌসুম। তবে বাস্তবিকভাবে ইউরোপের অন্যান্য শীর্ষ লিগগুলোর সিদ্ধান্তের জন্যও তখন অপেক্ষা করতে হতে পারে প্রিমিয়ার লিগকে। কারণ গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময়ের ব্যাপ্তি কী হবে, তা নিয়ে তখন ইউরোপিয়ান ফুটবলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে, এরপরই আগামী মৌসুম শুরুর দিনক্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।