• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ফার্গুসন নয়, গিগসের কোচিংয়ে ফন গালের ছায়া বেশি

    ফার্গুসন নয়, গিগসের কোচিংয়ে ফন গালের ছায়া বেশি    

    কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ সাফল্যের দিক দিয়ে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ধারে-কাছে নেই কেউ। পেশাদার ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় কিংবদন্তি কোচ ফার্গুসনের অধীনেই খেলেছেন রায়ান গিগস। ২০১৪ সালে অবসর নেওয়ার পর পুরোদস্তর কোচ বনে গেছেন এই ওয়েলশম্যান। স্বাভাবিকভাবেই তার কোচিংয়ের চিন্তাধারায় ফার্গুসনের প্রভাব বেশি থাকার কথা। গিগস অবশ্য বলছেন অন্য কথা, তার কোচিং দর্শনে ফার্গুসনের চেয়ে নাকি লুই ফন গালের প্রভাবই বেশি।


    সাবেক বার্সেলোনা, আয়াক্স ও নেদারল্যান্ডস ম্যানেজার ফন গাল ইউনাইটেডের ম্যানেজার হয়ে আসার পর গিগস ছিলেন তার সহকারি। দুই বছর দুই জন কাজ করেছেন একসঙ্গে। গিগসের কোচিংয়ে ফন হালের ছায়া থাকা অবশ্য তাই চমক অন্তত নয়, “লুইকে নিয়ে আমি বেশি কথা বলি কারণ তার অধীনেই আমার কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম দুই বছর কাটিয়েছি। যখন আপনি খেলবেন তখন ম্যানেজার ম্যাচের প্রস্তুতি কীভাবে নেন সেটা সম্পর্কে আপনার খুব একটা ধারণা থাকার কথা নয়। ম্যানেজার ভিডিওতে কোন পয়েন্টগুলো লক্ষ্য করছেন সেটাও বোঝা যায় না। খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষের ভিডিও ৭-৮ মিনিটের বেশি দেখে না, তবে কোচিং স্টাফদের সেটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখতে হয়। তাই এই বিষয়গুলো একজন ম্যানেজারের অধীনে দীর্ঘ সময় খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও জানা সম্ভব হয়তে ওঠে না।”

    “স্যার আলেক্সের কাছ থেকে আমি ম্যান-ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি শিখেছি। আর ফন হালের কাছ থেকে কীভাবে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, কোন প্রক্রিয়ায় খেলার কারণ কী, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে হাতে-কলমে শিখতে পেরেছি।”

    ২০১৪ সালের এপ্রিলে ডেভিড ময়েস ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর ৪ ম্যাচ ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন গিগস। ফল গালের অধীনে কাজ করার পর এখন ওয়েলসের কোচ তিনি। তবে ময়েস বরখাস্ত হওয়ার পর খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় হুট করে পেয়ে যাওয়া দায়িত্বটা মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল গিগসের ভাবনায়। সেই সময়টাতেই ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপ হিসেবে কোচিংকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পডকাস্টে গিগস বলেছেন ২০১৪ সালের সেই গল্পটা, “দারুণ অভিজ্ঞতা, দারুণ। ম্যানেজার হওয়ার ইচ্ছেটাও তখনই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ততদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কাজ করতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে ভালো লাগত। তখনও আমার প্রো লাইসেন্সের কাজ চলছিল। কোচ হিসেবে আসলে নিজেকে সেভাবে তৈরি করা যায় না, কারণ সারাক্ষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের চাপ মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় ম্যানেজারদের।”