সিটির হারের কারণ জানা নেই গার্দিওলার
নতুন সব অভিজ্ঞতা হচ্ছে পেপ গার্দিওলার। ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা ৩ অ্যাওয়ে ম্যাচ হেরেছে তার দল। লিভারপুলকে উড়িয়ে দেওয়ার ৩ দিন পর সাউদাম্পটনে ধরাশায়ী হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চে অ্যাডামসের একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে রেলিগেশন শঙ্কায় থাকায় সেন্টরা। একই দিনে লিভারপুল আবার ছন্দে ফিরেছে। সাদিও মানে ও কার্টিস জোনসের গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েছে চ্যাম্পিয়নরা।
সিটি গোল খেয়েছে ৪০ গজ দূর থেকে। জিনচেঙ্কো মিডফিল্ডে বল পজেশন হারিয়েছিলেন। এরপর চে অ্যাডামস এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে বল জড়িয়েছেন সিটির জালে। পুরো ম্যাচে এরপর ২৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি সিটি।
লিগে সিটির নবম হারের পর ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৬৬। ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ারে এক মৌসুমে লিগে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড আগেই হয়ে গেছে গার্দিওলার। সাউদাম্পটনের কাছে হারের পর কোনো জবাবই নেই তার কাছে, "আমরা বেশ ভালোই খেলেছি, কিন্তু সেটাও জেতার জন্য যথেষ্ট হয়নি।"- ম্যাচের পর বলেছেন গার্দিওলা।
"আমরা যে গোল করতে পারি না তেমন দাবি করা যাবে না। কারণ লিগে সবচেয়ে বেশি গোল আমরাই করেছি। আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি আগেও। এই মৌসুমেও আমাদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ সবচেয়ে কম সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা অনেক বেশি ম্যাচ হেরে ফেলেছি। এমনটা কেন হচ্ছে তার কারণ খুঁজে বের করা আমার জন্যও কঠিন।"
আগের ম্যাচে সিটিজেনদের কাছে ৪-০ গোলে হারা লিভারপুল অবশ্য জয়ের ধারায় ফিরেছিল এর আগেই। দ্বিতীয়ার্ধেই দুই গোল করেছে লিভারপুল। ৭১ মিনিটে মানে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর ৮৫ মিনিটে বদলি নামা ১৯ বছর বয়সী কার্টিস জনসন আরেক গোল যোগ করেছেন ৮৯ মিনিটে। ওই গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন মোহামেদ সালাহ। প্রিমিয়ার লিগে ১১৬ তম ম্যাচে ৭৩ গোলের সঙ্গে ২৭ অ্যাসিস্ট নিয়ে গোল ইনভলভমেন্টের সেঞ্চুরি পূরণ হয়েছে তার। লিগের বাকি ৫ ম্যাচের ৪টিতে জিতলেই প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে পয়েন্টের সেঞ্চুরিও হবে লিভারপুলের।