লেস্টারকে বাদ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যান ইউনাইটেড
ফুলটাইম
লেস্টার সিটি ০-২ ম্যান ইউনাইটেড
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দরকার ছিল ড্র। পা হড়কায়নি আর ইউনাইটেড। জয় দিয়েই এক মৌসুম বিরতির পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেছে ওলে গানার সোলশারের দল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরেকটি তৃপ্তি। প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেড শেষ করল তৃতীয় হয়ে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেও পয়েন্ট টেবিলের ৭ এ থাকা ইউনাইটেডের জন্য শেষ পর্যন্ত মৌসুমটা তাই ভালোই গেল।
ইউনাইটেডের রূপবদলে সবচেয়ে বড় ভূমিকা যার সেই ব্রুনো ফার্নান্দেজই পেনাল্টি থেকে গোল করে জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন ইউনাইটেডকে। পরে যোগ করা সময়ে বদলি জেসি লিনগার্ড যোগ করেছেন আরেক গোল।
এই জয়ের পর চেলসির সমান ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে গোলব্যবধানে এগিয়ে থেকে তাদের ওপরে লিগ শেষ করল ইউনাইটেড। আর জুনে লিগ ফেরার পর ৯ ম্যাচের মাত্র দুইটিতে জিততে পারার খেসারত দিয়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেছে লেস্টার সিটির। তবে পঞ্চম হয়ে ইউরোপা লিগের সরাসরি সুযোগ মিলছে তাদের।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টিতে নতুন রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে ইউনাইটেডের। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৪টি পেনাল্টি পাওয়ার রেকর্ড নেই আর কোনো দলের। অ্যান্থনি মার্শিয়াল গোলের দিকে ছুটছিলেন, বক্সের ভেতর তাকে স্যান্ডউইচ ট্যাকেল করে ফেলে দেন জনি এভানস ও মরগ্যান। রেফারিও তখন বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ঠান্ডা মাথায় নিচু শট নিয়ে স্পট কিক থেকে পিটার স্মাইকেলকে উলটো দিকে পাঠিয়ে গোল করেন ফার্নান্দেজ।
এর আগ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচে দুইদলই ভালো মতো টিকে ছিল। প্রথমার্ধে লেস্টারের দুই ফরোয়ার্ড জেমি ভার্ডি আর ইহেনাচো ভোগাচ্ছিলেন ইউনাইটেডের রক্ষণকে। তবে সুযোগগুলো আর কাজে লাগাতে পারেনি লেস্টার। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রি কিক থেকে ভার্ডির হেড গিয়ে বারপোস্টেও লেগেছিল। সে তুলনায় তখন পর্যন্ত গোলের এতোখানি কাছাকাছি যাওয়া হয়নি ইউনাইটেডের।
প্রথমার্ধে অবশ্য একেবারে হাত পা গুটিয়েও বসে ছিল না ইউনাইটেড। সম্ভাব্য সেরা একাদশটাই বাছাই করেছিলেন ইউনাইটেড ম্যানেজার। বিরতির ঠিক আগে দিয়ে মার্কাস র্যাশফোর্ড, মার্শিয়াল দুইজনই গোলে শট নিয়েছিলেন। একবার স্মাইকেল ঠেকিয়েছেন, আরেকবার মার্শিয়ালের শট ঠেকিয়েছেন লেস্টার ডিফেন্ডাররা।
দ্বিতীয়ার্ধে লেস্টার কিছুটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে উঠতেই পেনাল্টি হজম করে বসার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৯৪ মিনিটে সাবেক ইউনাইটেড ফুটবলার এভানস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে জয় একরকম নিশ্চিতই হয়ে যায় তখন। পরে গোলের জন্য মরিয়া লেস্টারের গোলরক্ষক স্মাইকেলকে ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা জালে আরেক গোল করে বসেন লিনগার্ড।