• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্যক্তি এবং খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন লিনগার্ড

    ব্যক্তি এবং খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন লিনগার্ড    

    ২০১৯-২০ মৌসুমে অনেকটা নিজেকে হারিয়েই খুঁজেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড জেসে লিঙ্গার্ড। ওলে গানার সোলশারের দল জায়গা হারিয়েছেন আগেই, মৌসুম জুড়েই শিরোনাম হয়েছেন ভুল কারণে। ইউনাইটেডের অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা সম্ভাবনাময় এই খেলোয়াড়ের দল থেকে নির্বাসনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফুটবল ট্রলের বড় অংশ হয়ে উঠেছিল তার নাম।

    সদ্য সমাপ্ত লিগ মৌসুমে মাত্র ৯ বার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন। তবে মৌসুমের শেষ ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে এই মৌসুমে লিগের শেষ গোলটি করেছেন তিনি। তবে এই একটি গোলে দলে লিনগার্ডের অবস্থানের পরিবর্তন হবে কিনা সেটা এখনই বলা দায়। লেস্টারের বিপক্ষে ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিনগার্ড অবশ্য ২০১৯-২০ মৌসুমের বেশিরভাগ সময় বসে কাটানোর কষ্ট উগড়ে দিয়েছেন। 


    ইনস্টাগ্রামে ২০১৯-২০ মৌসুমে নিজের অবস্থা বর্ণনা করতে আবেগে ঠাঁসা পোস্ট করেছেন লিনগার্ড। আর সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “এই মৌসুম অনেক কারণেই কঠিন ছিল। আমি নিজেকে ব্যক্তি এবং খেলোয়াড় হিসেবে হারিয়ে ফেলেছিলাম, তবে আমি কখনও হাল ছাড়তে চাইনি। আমি জানতাম মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমি কেমন ছিলাম। আর যেহেতু একবার সেখানে যেতে পেরেছি, তাই আবারও সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস ছিল।”

    “আর এটার উপায় ছিল আগের থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করা এবং যারা আমার আশপাশে ছিল তাদের ওপর আস্থা রাখা। কারণ তারা জানত কীভাবে আমাকে সাহায্য করলে আমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।”

    গত ডিসেম্বরে ডেইলি মেইলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লিঙ্গার্ড জানিয়েছিলেন যে, মৌসুমের শুরুর দিকে তার মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আরও ভালোভাবে তার ছোট ভাইয়ের দেখাশোনা শুরু করেছেন।

    গত মৌসুমের শুরুর দিকে সতীর্থ মার্কাস রাশফোর্ডের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অদ্ভুত ভিডিও পোস্ট করার পর নিজের ইউনাইটেড ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন লিনগার্ড, “আমি জানি, সমর্থকরা আমাকে নিয়ে হতাশ ছিল। তবে ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। এই দল, এই ক্লাবই আমার পরিবার। দলকে তার লক্ষ্য অর্জনের সাহায্য করতে আমি পরিশ্রম করে যাব।”

    তবে সেই পরিশ্রমের ফল পেতে লিনগার্ডের অপেক্ষার দৈর্ঘ্য কেমন হয়, সেটা সময়ই বলে দেবে।