• এশিয়া কাপ ২০১৬
  • " />

     

    ক্যাচ মিসের আক্ষেপেই পুড়লো বাংলাদেশ

    ক্যাচ মিসের আক্ষেপেই পুড়লো বাংলাদেশ    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ভারত ১৬৬/৬, ২০ ওভার (রোহিত শর্মা ৮৩, হারডিক পান্ডে ৩১; আল-আমিন ৩/৩৭), বাংলাদেশ ১২১/৭ (সাব্বির ৪৪; আশিষ নেহরা ৩/২৩)

     

    ফলঃ ভারত ৪৫ রানে জয়ী

     

    ম্যাচসেরাঃ রোহিত শর্মা (ভারত)

     

    ক্রিকেট মাঠে ক্লিশে হওয়া যাওয়া একটা প্রবচন ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। আরও একবার একটি ক্যাচ মিসের হতাশায় পুরলো বাংলাদেশ। বল হাতে দারুণ শুরুর পরও মাঝপথে খেই হারানো, আদতে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ একটু একটু করে বেরিয়ে যাওয়া...অতঃপর হতাশাজনক হারে ষোলোকলা পূর্ণ হওয়া; বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক দিনের পুরনো চেহারাটাই আরও একবার ফিরে এলো মিরপুরে। টিটোয়েন্টি এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলো ৪৫ রানে।

     

    সপ্রতিভ সূচনা

     

     

    ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই চোখজুড়ানো এক ইনসুইং ডেলিভারিতে শিখর ধাওয়ানের অফ ষ্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন আল-আমিন হোসেন। দু’ ওভার বাদে বিরাট কোহলিকে মিড অফে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন মাশরাফি। এরও দু’ ওভার বাদে সেই মাহমুদুল্লাহ যখন সুরেশ রায়নার মিডল ষ্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন, ভারতের স্কোরবোর্ডে রান ৪৩, অষ্টম ওভার শেষের পথে।

     

    একটি ক্যাচ মিস এবং সাকিবের ভুলে যাওয়ার দিন

     

    এগারোতম ওভারে তাসকিনের বলটা সরাসরি পয়েন্টে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সহজ ক্যাচটা হাত থেকে ফেলে দিলেন সাকিব। এরও আগে মাশরাফির প্রথম ওভারের প্রথম বলটাই ডিপ মিড উইকেটে ভাসিয়েছিলেন রোহিতই, সময়মতো পৌঁছতে না পারা সাকিবের হাতছাড়া হয় বলটা সে যাত্রায়ও। এরপর রোহিতের ব্যাট থেকে আসা একাধিক ছয়ের মার সীমানা ছাড়ায় ওই সাকিবের মাথার উপর দিয়েই।

     

    বল হাতে ৩ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে যুবরাজের উইকেটটি পেলেও ব্যাট হাতেও নিষ্প্রভ থেকে ফিরে যান দল তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ৮ বলে ৩ রান করে রান আউট হন মাঝ উইকেটে পড়ে গিয়ে।

     

    জীবন পেয়ে রুদ্রমূর্তিতে রোহিত, বাংলাদেশের পথ হারানো

     

    সাকিবের হাত ফসকে বেড়িয়ে যাবার পরের তিনটি বলই সীমানা ছাড়া করে রোহিত, যার একটি আবার ছয়ের মার। শেষ ওভারে গিয়ে আল-আমিনের বল সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন থামলেন, ততক্ষণে ৫৫ বল থেকে ৭ চার আর ৩ ছয়ে করে ফেলেছেন ৮৩ রান। দলের স্কোরবোর্ডেও রান ১৫৮। প্রথম দশ ওভারে লাইন-লেন্থ ধরে বল করা বোলাররাও খেই হারালেন। স্ট্যাম্পের বাইরে উপর্যুপরি ফুল টস আর খাটো লেন্থের বলে রোহিতকে হাত খুলে খেলার সুযোগটা আদতে দিয়েছেন বোলাররাই।

     

    ছোটখাটো আরেক ঝড়ে শেষের ওভারগুলোয় বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন হারডিক পান্ডেও। ১৮ বল থেকে ৪ চার, ১ ছয়ে পান্ডের সংগ্রহ ৩১ রান।

     

    ব্যাটিং ব্যর্থতায় ষোলোকলা পূর্ণ

     

    শুরুতেই মিথুন-সৌম্যকে হারিয়ে চাপের শুরু। সাব্বির-ইমরুলের ব্যাটে মাত্রই থিতু হতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানে ইমরুলও ফিরে যান ২৪ বল থেকে ১৪ রান নিয়ে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রানের চাকাও শ্লথ হতে শুরু করে। ৩২ বল থেকে ২ চার, ২ ছয়ে ৪৪ করে সাব্বির ফিরে গেলে আশার শেষ প্রদীপটাও নিভে যায় বাংলাদেশের জন্য।