কোভিড-১৯ এর জন্য হ্যাভার্টজের দাম কমাবে না লেভারকুসেন
কাই হ্যাভার্টজকে সস্তায় পাচ্ছে না চেলসি। বায়ার লেভারকুজেন তার দলবদলের জন্য যে পরিমাণ অর্থ চেয়েছে, তার পুরোটা দিয়েই হ্যাভার্টজকে দলে টানতে হবে। নয়ত হ্যাভার্টজ আগামী মৌসুমে লেভারকুজেনেই থেকে যাবেন বলে চেলসির উদ্দেশ্যে একরকম সতর্কবাণী-ই ছুড়ে দিয়েছেন ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর রুডি ভোলার।
রক্ষণে সমস্যা থাকলেও আক্রমণভাগে শক্তি বাড়ানোর দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে চেলসি। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, হাকিম জিয়েখ এবং তিমো ভের্নারকে দলে টেনেছে চেলসি। এবার ইউরোপের অন্যতম সম্ভাবনাময় তরুণ অ্যাটাকারদের একজন হ্যাভার্টজের দিকে নজর দিয়েছে দলটি। যত দ্রুত সম্ভব হ্যাভার্টজকে লেভারকুজেন থেকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিয়ে আসতে চায় চেলসি। হ্যাভার্টজ নিজেও চেলসিতে আসতে ব্যাপক আগ্রহী। কিন্তু এই দলবদলের ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা হয়ে দাড়িয়ে আছে দলবদলের ফি।
লেভারকুজেন হ্যাভার্টজের জন্য চেলসির কাছে ৭৬ মিলিয়ন ইউরো চেয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে জিয়েখ এবং ভের্নারকে দলে টানতে এই দলবদলের মৌসুমে ৯৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ক্লাবটি। এরপর হ্যাভার্টজকে টানতে আরও ৭৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করাটা কিছুটা কঠিন চেলসির জন্য। আর তাই বেশ কয়েকদিন ধরেই ফি কমিয়ে আনতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল চেলসি। কিন্তু লেভারকুজেনের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের কথায় বোঝা গেল, আলোচনায় অগ্রগতি হয়নি মোটেও।
গ্যাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সঠিক মূল্য না পেলে হ্যাভার্টজকে না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভোলার, “হ্যাভার্টজ সেরা ক্লাবগুলোর পছন্দের তালিকায় আছে। কয়েকটি ক্লাবের আগ্রহের ব্যাপারে আমরা জানি, বিশেষভাবে চেলসি। তবে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের সঙ্গে তার এখনও দুই বছরের চুক্তি আছে। যদিও কেউ আমাদের শর্তমতে তাকে দলে টানতে চায়, ঠিক আছে। আর সেটা না হলে হ্যাভার্টজ আমাদের সাথে আরও এক বছর থাকবে। হ্যাভার্টজের মতো একজন শিল্পীকে দলে টানতে কেউ কোনও কোভিড ছাড়’ পাবে না।”