• এশিয়া কাপ ২০১৬
  • " />

     

    আম্পায়ারিংয়ে অসন্তোষ ধোনির

    আম্পায়ারিংয়ে অসন্তোষ ধোনির    

    পাকিস্তানের ইনিংসে পঞ্চম ওভারের খেলা চলছিল। আশিস নেহরার চতুর্থ বলটা স্কুপ করে উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ব্যাটসম্যান খুররম মনজুর। কিন্তু টাইমিংটা ঠিকঠাক না হওয়ায় বল জমা হয় উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো এমএস ধোনির গ্লাভসে। উইকেট পতনের উৎসবে মাতে ভারত। কিন্তু ওদিকে আউটের সংকেতই দেন নি বাংলাদেশী আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। হতভম্ব হয়ে পড়েন ধোনি-নেহরারা, উত্তেজনার বশে আম্পায়ারকে উদ্দেশ্য করে অশোভন কিছু বলেও বসেন বিরাট কোহলি।

     

     

     

    সেই বিরাট কোহলিই যখন ব্যক্তিগত ইনিংসের ৪৯ রানে দাঁড়িয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের করা এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেন শ্রীলংকার আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে। অথচ আপাতদৃষ্টে বলটা তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তারপর প্যাডে আঘাত হানে। হতবাক কোহলি অতি দুঃখেই কিনা হেসে ফেললেন। যদিও তাঁর লম্বা ইনিংসটির পিছনে পালিয়াগুরুগের আরও একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের ভূমিকা ছিল বোধহয়। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আমিরের বলে এলবিডব্লু হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেবার আমিরদের আবেদনে সাড়া দেন নি লংকান আম্পায়ার।

     

     

     

    ভারত-পাকিস্তান ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচে মাঠের আম্পায়ারদের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা অনিবার্যই ছিল। তবে এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কূটনৈতিক জবাবই দিলেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, “আপনারা নিশ্চয়ই চান না টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আগে আমি নিষেধাজ্ঞার মতো কোনো শাস্তির মুখে পড়ি। আম্পায়ারিং কেমন হয়েছে আপনারা সবাই দেখেছেন, বাকিটা নিজেরাই বুঝে নিন।”

     

     

    খুররমের ‘কট বিহাইন্ড’ না দেয়া এবং শেষবেলায় কোহলিকে এলবিডব্লু ঘোষণা করা- দু’ ক্ষেত্রেই বল ব্যাটের কানা ছোঁয়ার শব্দ আম্পায়াররা ভালোমতো শোনেন নি বলেই হয়তো বিশ্বাস ধোনির। আর তাই আম্পায়ারিংয়ের মানোন্নয়নে একটি পরামর্শও দিচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক, “একটা কাজ করা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। আম্পায়ারদের হাতে এখন ওয়াকিটকি থাকে, এক কানে থাকে ইয়ার পিস। এর মানে হচ্ছে তাঁরা আসলে এক কান সক্রিয় রেখে আম্পায়ারিংয়ের মতো কঠিন একটা দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাপারটা অবশ্যই ভেবে দেখা দরকার। আমি মনে করি একজন বোলার যখন বল করে তখন আম্পায়ারের কানে ইয়ার পিস লাগিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং মাঠের শব্দগুলো আরও ভালো করে শোনার জন্য তাঁরা যেনো দুটো কানই ব্যবহার করতে পারেন সে ব্যবস্থাই করা উচিৎ।”