লিভারপুল আর চেলসি এক নয়, দলবদল প্রসঙ্গে ক্লপ
দলবদলের বাজারে এবার সবচেয়ে সক্রিয় দল চেলসি। একের পর এক বড় মাপের সাইনিংয়ে প্রিমিয়ার লিগ প্রতিপক্ষদের মনে মৌসুম শুরুর আগেই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের চিত্র পুরো ভিন্ন। দলবদলের একেবারে শুরুর এক গ্রিক ডিফেন্ডারকে দলে টেনেই চুপসে গেছে ক্লাবটি। দীর্ঘ সময় ধরে বায়ার্ন মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকান্তারাকে অ্যানফিল্ডে আনতে চাইলেও তার জন্য ৩০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে রাজি নয় তারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দলবদলের বাজারে লিভারপুলের নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চাইলে ক্লপের সোজা উত্তর, লিভারপুল আর চেলসি এক নয়।
বিবিসি রেডিও ৫ লাইভের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে চেলসির দিকে ইঙ্গিত করে ক্লপ বলেন, “সব ক্লাবের অবস্থা এক নয়। আমরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মাঝে বাস করছি। কিছু ক্লাবের জন্য অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ভীতিকর নয়, কারণ তারা হয়ত কোনো দেশের বা অভিজাতদের মালিকানায় রয়েছে। আর এটাই সত্য কথা। আমরা ভিন্ন ধরনের ক্লাব। আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছি দুই বছর আগে, এরপর সেটা জিতেছি, প্রিমিয়ার লিগও জিতেছি। আর এসব নিজেদের পরিচয় অক্ষুণ্ণ রেখে করেছি।”
নতুন খেলোয়াড় সাইন করার চেয়ে বরং স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের উন্নতির দিকে জোর দিচ্ছেন ক্লপ, “আমরা সবসময়ই স্কোয়াডকে উন্নত করতে চাই। আর এটি করার বিভিন্ন উপায় আছে, একটি হচ্ছে নতুন খেলোয়াড় দলে টানা, আরেকটি হচ্ছে মিলেমিশে কাজ করা। যেসব জায়গায় উন্নতি সম্ভব সেদিকে জোর দেওয়া, আর যেসব জিনিসে আপনি ভালো নন সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়া। এটাই ফুটবল, কেউ অনুশীলন নিয়ে কথা বলে না, সবার মুখে শুধু সাইনিং।”
গত মৌসুমেও দলবদলের বাজারে একেবারেই খরচ করেনি লিভারপুল। গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন উইন্ডো মিলিয়ে মাত্র চারজন খেলোয়াড়কে দলে টানে তারা। ১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে তরুণ মিডফিল্ডার সেপ ভ্যান ডেন বার্গ এবং ৭.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে উইঙ্গার তাকুমা মিনামিনোকে সাইন করায় তারা। আর দুই গোলরক্ষক আদ্রিয়ান এবং অ্যান্ডি লোনেরগানকে ফ্রিতে দলে ভেড়ায় তারা।
আর চেলসি গত মৌসুমে নিষেধাজ্ঞায় থাকার পর এবার হাত খুলে খরচ করছে। হাকিম জিয়েখ, তিমো ভের্নার, কাই হাভার্টজদের দলে টানতে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করেছে ক্লাবটি।