সনের ৪ গোল, কেইনের ৪ অ্যাসিস্টের সঙ্গে ১ গোলে সাউদাম্পটনকে উড়িয়ে দিল টটেনহাম
ফুলটাইম
সাউদাম্পটন ২-৫ টটেনহাম
প্রথমার্ধে টটেনহামের খেলা দেখে এমন কিছু কল্পনা করাও প্রায় অসম্ভব ছিল। খেলায় ছন্দ নেই, ছন্নছাড়া রক্ষণ, আগের ম্যাচের মতোই আরও একবার ধুঁকছিল টটেনহাম। প্রিমিয়ার লিগ এবং লিগ কাপে দুই হার দিয়ে মৌসুম শুরু করা সাউদাম্পটন রীতিমত শাসন করছিল হোসে মরিনহোর দলকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে হিউং মিন সন এবং হ্যারি কেইনের অভাবনীয় সংযোগে ম্যাচের হালহকিকত আমূল পাল্টে যায়। এরপর হিউং মিন সনের চার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে উড়েই গেছে সাউদাম্পটন। সনের ৪ গোলে ৪ বারই অ্যাসিস্ট করেছেন হ্যারি কেইন। পরে নিজেও এক গোল করেছেন।
তবে সাউদাম্পটনের ঝড়ের মাঝেও অবশ্য হ্যারি কেইন দুইবার বল স্বাগতিকদের জালে পাঠিয়েছিলেন। তবে দুইবারই অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। সাউদাম্পটনের একটি গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ৩২ মিনিটে দারুণ ফর্মে থাকা ড্যানি ইংস নিখুঁত ফিনিশে সাউদাম্পটনকে ম্যাচে এগিয়ে দেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে টাঙ্গুয়ে এনদম্বেলে মধ্যমাঠ থেকে দারুণ টার্ন করে বলে তুলে দেন কেইনের পায়ে। সেখান থেকে কেইনের পাস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে সন টটেনহামকে খেলায় ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধে সাউদাম্পটন কোচ রালফ হাসেনহুটলের ডিফেন্সিভ হাইলাইনের ফায়দা তুলে নিয়েছেন সন-কেইন। কেইনের ফরোয়ার্ড পাসগুলো ছাড়াও টটেনহামের ডিফেন্স থেকে শুন্যে ভাসা প্রত্যেকটি বল সনকে খুঁজে নেয়। সন দুহাত ভরে সুযোগগুলো লুফে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান। ৪৫, ৪৭ এর পর সন হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন ৬৪ মিনিটের গোলে। চতুর্থ গোলটি করেছেন ৭৩ মিনিটে।
স্ট্রাইকার থেকে পুরোদস্তর প্লেমেকার বনে যাওয়া কেইন প্রথম ইংলিশ খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচে চারটি গোল বানিয়ে দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। আর প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এক ম্যাচে ৪ অ্যাসিস্টের কীর্তি গড়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি নিজেও জাল খুঁজে পেয়েছেন ৮২ মিনিটে। এরিক লামেলার শট বারে লেগে ফিরে আসার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
এই জয়ে ১৪ তম অবস্থান থেকে এক লাফে পাঁচে উঠে এসেছে মরিনহোর টটেনহাম। শনিবার গ্যারেথ বেল ও সার্জিও রেগিলনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে টটেনহাম। এরপরদিনই এমন দারুণ জয়। টটেনহাম সমর্থকদের জন্য সময়টা দারুণই!