দুই গোলের থ্রিলারে 'গুরু' বিয়েলসা ও 'শিষ্য' গার্দিওলার পয়েন্ট ভাগাভাগি
স্কোরলাইন
ম্যান সিটি ১ঃ ১ লিডস
মার্সেলো বিয়েলসার ওপর তার প্রভাব কতটা, সেটা সবসময়ই অকপটে বলেন পেপ গার্দিওলা। ‘গুরু’ বিয়েলসার সঙ্গে ‘শিষ্য’ গার্দিওলার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ লড়াই নিয়ে বাড়তি একটা আগ্রহ ছিল অনেকেরই। ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ হলেও খেলা যারা দেখেছেন, তাদের অতৃপ্তি থাকার কথা নয়। ট্যাকটিকস-কাউন্টার ট্যাকটিকসের ওপেন ম্যাচে দুই দলই অন্তত পাঁচ গোল দিতেই পারত। সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি, তাতে বিয়েলসার চেয়ে গার্দিওলার ক্ষতিও হয়তো বেশি হয়েছে।
সিটির জন্য আজকের ম্যাচে জয়টা দরকার ছিল খুব। এমনিতেই এক ম্যাচে হোঁচট খেতে হয়েছে তাদের, নিজেদের মাঠে আজ লিডসের সঙ্গে ড্রটা আরও বড় ধাক্কা দিয়েছে গার্দিওলার দলকে। আজই গার্দিওলা মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন কয়েক দিন আগেই বেনফিকা থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া ডিফেন্ডার রুবেন ডিয়াজকে। শুরুতে কর্নার থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন ডিয়াজ, কিন্তু হেড পোস্টে রাখতে পারেননি। সিটি অবশ্য শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আরও। কেভিন ডি ব্রুইনের শট বারে লেগে ফিরে আসে, ওদিকে লাপোর্তের আরেকটি দারুণ হেড চলে যায় পোস্টের বাইরে। ফেরান তোরেস গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন, কিন্তু তার শট কীভাবে যেন লাইন থেকে ক্লিয়ার করে দেন লিডস ডিফেন্ডার ডালাস। ১৭ মিনিটেই প্রথম গোলটা পেয়ে যায় সিটি। স্ট্রাইকারবিহীন দলে রাহিম স্টার্লিংই খেলেছেন সামনে, গোলটা তারই। দায়টা অবশ্য লিডস গোলরক্ষকের, তার ঠিকমতো ক্লিয়ার না করা বল মেন্ডি হয়ে তোরেসের পা ঘুরে আসে স্টার্লিংয়ের কাছে। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন।
এই গোল খেয়েই একটু গা ঝাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে লিডস। প্রথমার্ধের শেষদিকে তাদের দুই ফুলব্যাক ডালাস ও আইলিং পেয়েছিলেন দুইটি দারুণ সুযোগ। কিন্তু দুবারই ওয়ান টু ওয়ানে ঠেকিয়ে দিয়েছেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন, এগিয়ে থেকেই সিটি শেষ করেছে প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য বিয়েলসা নামিয়ে দেন রদ্রিগোকে, ফলটাও পেয়ে যান সাথে সাথে। তবে নিয়তির কী প্রহসন, এবার দায়টা এডারসনের। কর্নার থেকে আসা বল ঠিকমতো ধরতে না পারায় সেটা বক্সে পেয়ে জালে জড়িয়ে দেন রদ্রিগোকে।
ওই ভুলের পরও এডারসন আরও গোটা দুয়েক ম্যাচ বাঁচানো সেভ করেছেন, শেষ মুহূর্তে তো ঠেকিয়ে দিয়েছেন বামফোর্ডকে। তবে এর মধ্যে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে জমজমাট হয়েছে এলান্ড রোড। সিটির দুইবার পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়েছে, ফোডেন আর স্টার্লিংয়ের শট চলে গেছে পোস্ট ঘেঁষে। এডারসন তো আরও দুইবার পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে সেভ করেছেন। কিন্তু গোল আর কোনো দল পায়নি।
তার আগে চেলসি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেসকে, মাথার ওপর থেকে চাপ কমেছে ফ্রাংক ল্যাম্পার্ডের। ব্রাইটনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা শুরু পেয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এভারটন, জোড়া গোল করেছেন হামেস রদ্রিগেজ।