• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    রোমেরোর প্রতি ক্লাবের আচরণে অসন্তুষ্ট ইউনাইটেড সতীর্থরা?

    রোমেরোর প্রতি ক্লাবের আচরণে অসন্তুষ্ট ইউনাইটেড সতীর্থরা?    

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ডেভিড ডি গিয়ার ব্যাকআপ হিসেবে খেলছেন অনেক দিন ধরে। লিগের ম্যাচে সুযোগ না পেলেও কাপ বা ইউরোপার ম্যাচে খেলেছেন নিয়মিতই। অথচ এখন খেলা দূরে থাক, স্কোয়াডেই জায়গা হচ্ছে না। সার্জিও রোমেরো চেয়েছিলেন ক্লাব ছেড়ে দিতে, কিন্তু সেটা এই মৌসুমে হয়নি। অথচ এভারটন তাকে নিতে চেয়েছিল ধারে, কিন্তু ইউনাইটেড সেটা হতে দেয়নি। রোমেরোর প্রতি এমন আচরণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়েরাও অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে ইএসপিএন।

    রোমেরোর দুর্ভাগ্যটা আসলে শুরু করোনা ভাইরাসের পর থেকে। গত মৌসুমেও লিগ আর ইউরোপায় দলের নিয়মিত কিপার ছিলেন। কিন্তু এফএ কাপে চেলসির বিপক্ষে সেমির ম্যাচের আগে হুট করেই স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়। ইউরোপা লিগেও একই অবস্থা, সেভিয়া ম্যাচের আগে নেই রোমেরো। এরপর নতুন মৌসুমে ডিন হেন্ডারসন যখন ধার থেকে আবার ফিরে আসেন, তখনই রোমেরোর ভাগ্য যে ফিরছে না সেটা বোঝা হয়ে যায়।

    দলবদলের আগে রোমেরো চলে যেতে চেয়েছিলেন অন্য ক্লাবে। কিন্তু ইউনাইটেডের তার জন্য দাবি ছিল ১০ মিলিয়ন পাউন্ড। শেষ দিনে এভারটন তাকে ১ মিলিয়ন পাউন্ডে ধারে নিতে চেয়েছিল, রাজি ছিলেন রোমেরোও। কিন্তু ইউনাইটেড এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এরপর রোমোরের স্ত্রী এ নিয়ে প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন।  এখন দলে কার্যত চতুর্থ পছন্দের কিপার হয়ে আছেন রোমেরো। ডি গিয়া, হেন্ডারসনের পর তৃতীয় কিপার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্কোয়াডে আছেন ৩৭ বছর বয়সী লি গ্রান্ট। সব মিলে ইউনাইটেডের সতীর্থেরাও মনে করছেন, রোমেরোর প্রতি ক্লাবের আচরণ ঠিক হয়নি। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ।

    ২০১৫ সালে সাম্পদোরিয়া থেকে আসার পর ইউনাইটেডের হয়ে ৬১টি ম্যাচ খেলেছেন রোমেরো। এর মধ্যে ক্লিন শিট রেখেছেন ৩৯ ম্যাচে, হজম করেছেন ২৭ গোল। ক্লাবের সঙ্গে ২০২১ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। দেশের হয়েও ৯৬টি ম্যাচ খেলেছেন, তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেননি আর কোনো কিপার।