• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    স্টার্লিং-এডারসনে আরতেতাকে হাসিটা ফিরিয়ে দিলেন গার্দিওলা

    স্টার্লিং-এডারসনে আরতেতাকে হাসিটা ফিরিয়ে দিলেন গার্দিওলা    

    লিগে প্রথম হাসিটা ছিল পেপ গার্দিওলার। এরপর এফএ কাপে মিকেল আরতেতা সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। নতুন মৌসুমের প্রথম দেখায় আবার গার্দিওলার পালা, আর্সেনালকে যে ১-০ গোলের জয় ফিরিয়ে দিয়েছে তার দল ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও ম্যাচ শেষে গুরু-শিষ্য কারও মুখেই খুব একটা হাসি নেই। গার্দিওলার অবশ্য আনন্দের চেয়ে স্বস্তিই বেশি থাকার কথা। জয়টা যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে হয়তো পাননি, তবে জয় তো! সেজন্য নিজের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আর ইংলিশ ফরোয়ার্ডকেই ধন্যবাদ দেবেন।  প্রথমার্ধে স্টার্লিংয়ের গোলের পর দুর্দান্ত এডারসনেই যে বলতে গেলে তিন পয়েন্ট পেয়েছে সিটি।

     

    ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য তেঁড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে সিটি। কেভিন ডি ব্রুইন না থাকায় মধ্যমাঠের দখল নিয়ে জম্পেশ লড়াই হতে পারত। অবশ্য রদ্রি-ফোডেনরা শুরু থেকেই নিজেদের কাছেই রাখছিলেন বল। শুরুতে রিয়াদ মাহরেজের শট অল্পের জন্য চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। তবে এরপরও আর্সেনালের অর্ধেই বেশি ঘোরাঘুরি করছিল বল। সেটারই পুরস্কার পেয়ে যায় সিটি দারুণ একটা আক্রমণ থেকে। মাহরেজের কাছ থেকে ঘুরে বলটা আগুয়েরো হয়ে চলে যায় বক্সের ভেতর ফোডেনের কাছে। তার শট লেনো ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বল চলে যায় রাহিম স্টার্লিংয়ের কাছে। সুযোগটা নষ্ট করেননি স্টার্লিং, এগিয়ে দিয়েছেন দলকে। লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে গত পাঁচ ম্যাচে ছয়টি গোলে অবদান রাখলেন স্টার্লিং, যার মধ্যে চারটি করেছেন আর বাকি দুইটি করেছেন। ওই গোলটা খাওয়ার পরেই জেগে ওঠে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকো বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন দারুণভাবে, তার শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন এডারসন। খানিক পর পেপের হেড চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। এরপর সিটি আবার লাগাম নিয়ে নেয়, ফোডেনের শট লেনো সেভ না করলে দুই গোলে এগিয়ে যেতে পারত তারা।

    তবে আর্সেনাল ফিরে প্রায় এসেছিলই প্রথমার্ধ শেষের আগে। এবার শাকার সঙ্গে ওয়ান টুর পর সুযোগ পেয়েছিলেন সাকা, কিন্তু দুর্দান্ত আরেকটি সেভে গোল করতে দেননি। খানিক পর আবার অবামেয়াংয়ের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন ওয়ান টু ওয়ানে। সেটা অফসাইড কল হলেও রিপ্লেতে দেখা গেছে তা ছিল না।

    প্রথমার্ধটা যদি সিনেমা হলে ক্ল্যাপ পাওয়ার মতো হয়, দ্বিতীয়ার্ধ হয়েছে প্রায় ঘুমিয়ে পড়ার মতো। গার্দিওলা আর আরতেতা দুজনেই সতর্ক ছিলেন, গোল ফেরত দিতে হবে বলে আর্সেনালের সক্রিয়তা সামান্য বেশি ছি। তবে মূলত মধ্যমাঠেই বেশি ঘোরাফেরা করেছে বল। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ৩০ মিনিটে সেভাবে গোলের সুযোগ পায়নি কেউ। ৭৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা পেয়ে যেতে পারত সিটি। জোয়াও ক্যানসেলো দুর্দান্ত খেলে বক্সে ঢুকে করেছিলেন। সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে ডেভিড লুইজ অনায়াসেই বল জালে জড়িয়ে দিতে পারতেন। ভাগ্যক্রমে সেটা হয়নি। খানিক পর সুযোগ পায় আর্সেনাল, কিন্তু নিকলাস পেপের ফ্রিকিক চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এরপর দুই কোচই কিছু বদলি করেছিলেন, কিন্তু তারা কেউ বলার মতো সুযোগ এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অনেক স্বস্তির জয় পেয়েছেন গার্দিওলা। আর্সেনালের বিপক্ষে লিগে টানা সাত ম্যাচে জয় পেল সিটি, লিগে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আর্সেনাল সর্বশেষ টানা সাত ম্যাচ হেরেছিল সেই ১৯৭৪-৭৭ সালের মধ্যে, ইপ্সউইচের বিপক্ষে।

    এই জয়ে চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট হলো সিটির। আর পাঁচ ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল আছে পাঁচে।