• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইংল্যান্ডের সেমির স্বপ্ন শেষ বেলজিয়ামে, পথে ফিরল নেদারল্যান্ডস

    ইংল্যান্ডের সেমির স্বপ্ন শেষ বেলজিয়ামে, পথে ফিরল নেদারল্যান্ডস    

    নেশনস কাপের সেমিতে উঠতে হলে বেলজিয়ামকে হারাতেই হতো ইংল্যাড। কিন্তু ফিফা র‍্যাংকিংয়ের এক নম্বর দলের কাছে উলটো গ্যারেথ সাউথগেটের দল হেরে গেছে ২-০ গোলে। প্রথমার্ধে ইউরি তিয়েলেমান্স ও ড্রাইস মের্টেন্সের গোলেই কপাল পুড়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে বেলজিয়াম এখন সেমির পথে এগিয়ে গেল অনেকটা, অন্য গ্রুপে সেই পথে এগিয়ে গেছে ইতালিও।

     

    কেইনের ৫০ এর দিন ইংল্যান্ডের টানা দুই

    বেলজিয়ামের সঙ্গে ম্যাচটা ছিল ইংল্যান্ডের জার্সিতে হ্যারি কেইনের ৫০তম ম্যাচ। প্রথম টটেনহাম ফুটবলার হিসেবে খেলার সময় এই অর্জন হলো তার, জন টেরির পর প্রথম আউটফিল্ড ফুটবলার হিসেবেও পৌঁছলেন এই মাইলফলক। কিন্তু সেই রাতটা ম্লান হয়ে গেল দলের পরাজয়ে।

    ক্ষতিটা যা হওয়ার আসলে প্রথমার্ধেই হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। ১০ মিনিটে লেস্টার সিটি মিডফিল্ডার তিয়েলেমান্সের শট ইংলিশ ডিফেন্ডার টাইওরন মিংসের গায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে যায় জালে। ২৩ মিনিটের গোলটা এসেছে নাপোলি ফরোয়ার্ড মের্টেন্সের দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে। যদিও ডেক্লান রাইসের করা কেভিন ডি ব্রুইনের চার্জটা ফাউল হিসেবে না ধরলেও পারতেন রেফারি। এই গোলের ঠিক আগেই অবশ্য কেইনের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়েছিলেন রোমেলু লুকাকু।

    এরপর অবশ্য ইংল্যান্ড গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে। বল পজিশন বেশির ভাগ সময় তাদেরই ছিল, জ্যাক গ্রিলিশ বেশ ভুগিয়েছেন বেলজিয়ান রক্ষণকে। কিন্তু ৩-৪-৩ ফর্মেশনে গোল করার মতো পরিষ্কার সুযোগ আর পাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত থিবো কোর্তোয়াকে খুব বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। ২০১৮ সালের পর টানা দুইটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে তাই হেরে গেল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে এটা সাউথগেটের দশম পরাজয়, সর্বশেষ ইংল্যান্ড কোচদের মধ্যে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সভেন গোরান এরিকসেনের।

    এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সবার ওপরে বেলজিয়াম। শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে সেমি। আর সেমিতে উঠতে হলে বেলজিয়ামকে হারাতেই হবে ডেনমার্ককে।

     

    নেদারল্যান্ডসের স্বস্তি, এগিয়ে গেল ইতালি

    রোনাল্ড কোমান চলে যাওয়ার পর ছন্দটা হারিয়ে ফেলেছিল নেদারল্যান্ডস। নতুন কোচ ফ্রাংক ডি বোরের অধীনে জয়টা আর পাওয়া হচ্ছিল না। নেশনস কাপের সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বসনিয়াকে হারাতেই হতো তাদের। অবশেষে সেটা পেয়ে ছন্দে ফিরেছে ডাচরা, বসনিয়াকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। লিভারপুল মিডফিল্ডার জর্জিনিও ভিনালদামের জোড়া গোলের পর শেষ গোলটা করেছেন লিওর মেম্ফিস ডিপাই।

    বসনিয়ার বিপক্ষে ৬ মিনিটেই ভিনালদাম এগিয়ে দেন ডাচদের। এরপর বারগুইসের ক্রস থেকে হেড করে ভিনালদাম ব্যবধান বাড়ান ১৩ মিনিটে। বিরতির পর ডিপাই ট্যাপ ইন থেকে গোল করে নিশ্চিত করে ফেলেন দলের জয়। বসনিয়ার স্মাইল প্রেভিয়াক এক গোল করলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। তাই পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল নেদারল্যান্ডস।

    তবে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে গেছে ইতালি। জর্জিনহোর পেনাল্টির পর গোল করেছেন বেরার্ডি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে গেল তারা, শেষ ম্যাচে বসনিয়াকে হারালেই নিশ্চিত হবে সেমি। ড্র করলেও নেদারল্যান্ডস-পোল্যান্ডের ম্যাচ ড্র হলে উঠে যাবে ইতালি।