• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    জিকোর বীরত্বের পরও কাতার-ভরাডুবির ম্যাচে প্রশ্ন বাফুফের সিদ্ধান্ত নিয়ে

    জিকোর বীরত্বের পরও কাতার-ভরাডুবির ম্যাচে প্রশ্ন বাফুফের সিদ্ধান্ত নিয়ে    

    যা হওয়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। র‍্যাংকিংয়ে এক দল ৫৯, আরেক দল ১৮৪- এই ব্যবধানটাই শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে ম্যাচের স্কোরলাইনে। ম্যাচ শুরুর আগে জেমি ডে বলেছিলেন, যথাসম্ভব ভালো খেলতে চান। আর জামাল ভুইঁয়া বলেছিলেন, এক পয়েন্টের জন্য লড়বে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টার ধারেকাছ দিয়ে তো যায়নি বটেই, প্রথমটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। দোহাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৫-০ গোলে হেরে প্রশ্ন দিয়েছে বাফুফের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নেরও। সেই ব্যবধানও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো না থাকলে অনেক বড় হয়।

    ম্যাচ নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো। পুরো ম্যাচে আসলে খেলেছে কাতার, বাংলাদেশের সবাই মিলে শুধু রক্ষণ করেছেন। কিন্তু সেটাও ঠিকমতো করতে পারেনি, সেজন্য জিকোর ওপর দিয়ে বলতে গেলে ঝড়ই বয়ে গেছে। একের পর এক সেভ করেছেন পুরো ম্যাচে, অন্তত গোটা চারেক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন। নইলে ম্যাচের স্কোরলাইন দুই অংকে পৌঁছে যাওয়াও বিচিত্র ছিল না।

    কাতারের প্রেসিং আর গোছানো ফুটবলের কাছে বাংলাদেশ বলতে গেলে অসহায়ই ছিল। ম্যাচের ৯ মিনিটেই আবদুল আজিজ আহেতের গোলে এগিয়ে যায় কাতার। ৩৩ মিনিতে আকরাম আফিফ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি কাতার, সেটা অবশ্য জিকোর কল্যাণেই।

    দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা সময় কাতারকে ঠেকিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৭২ মিনিতে পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় কাতার আরেক দফা। এবারও ঠিক লাইনে লাফ দিয়েছিলেন জিকো। এর আগেই চোট পেয়েছিলেন উরুতে, সেটা না থাকলে হয়তো ঠেকিয়েও দিতে পারতেন গোল। তবে এই অর্ধেও অন্তত গোটা তিনেক সেভ করেছেন।

    শেষ পর্যন্ত সেই চোট নিয়েই খেলে গেছেন জিকো। তবে বাংলাদেশকে ভরাডুবির হাত থেকে আর বাঁচাতে পারেননি। ৭৮ মিনিটে আলময়েজ আলি পেয়েছেন দ্বিতীয় গোল, এবার বাঁদিক থেকে আসা দারুণ একটা থ্রু থেকে। আর শেষ মুহূর্তে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়িয়েছেন আফিফ।

    তবে এই ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠতে পারে বাফুফের সিদ্ধান্ত নিয়ে। করোনার সময় দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকার পর নেপালের বিপক্ষে দুইটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে খর্বশক্তির নেপালের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ দুইটি যে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট ছিল না, এই ম্যাচ দেখেই সেটা বোঝা গেছে। বিশেষ করে কাতারের মতো দলের বিপক্ষে এমন প্রস্তুতিতে মাঠে নামা কতটা আত্মঘাতী হতে পারে, দেখা গেছে ভালোমতোই। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণ থেকেছে তটস্থ, মিডফিলদে এক দুইবার বল পেলেও আক্রমণ পর্যন্ত তা পৌঁছাতে পারেনি। জেমি ডের লং বলে খেলার কৌশলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি দল। প্রথমার্ধে সুফিল তাও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের অর্ধে বাংলাদেশ বলই ধরতে পেরেছে হাতেগোণা কয়েক বার।

    এই মাচ দেখতেই মাঠে ছিলেন আল সাদের কোচ বার্সা ও স্পেন কিংবদন্তি জাভি। বাংলাদেশ নিয়ে কী ধারণা পেয়েছেন, সেটা না বললেও চলছে!