• ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর ২০২১
  • " />

     

    মিডল অর্ডারে ফিরছেন সাকিব, নিচে খেলানো হতে পারে সৌম্যকে

    মিডল অর্ডারে ফিরছেন সাকিব, নিচে খেলানো হতে পারে সৌম্যকে    

    নিষেধাজ্ঞার পর আবারও মিডল অর্ডারে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতির পর তাকে একটু থিতু হওয়ার সময় দিতে, এবং একইসঙ্গে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনে ব্যাটিং করা নাজমুল হোসেন শান্তকে সুযোগ দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সৌম্য সরকারের জন্যও দলে ভিন্ন ভূমিকা ভাবা হচ্ছে। পরের বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেরা ব্যাটিং লাইন-আপটা খোঁজার প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করে দিতে চান তারা, জানিয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। 

    নিষেধাজ্ঞার আগে বিশ্বকাপে সাকিব খেলেছিলেন তিনে। ক্যারিয়ারে পাঁচ নম্বরে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং করলেও ২০১৮ সাল থেকে তিনে উঠে এসে নিয়মিত খেলা শুরু করেছিলেন তিনি। এ পজিশনে দারুণ সাফল্যও পেয়েছেন, ক্যারিয়ার গড় ৩৭.৮৬ হলেও তিনে তার গড় ৫৮.৮৫। এর পেছনে অবশ্য দুর্দান্ত বিশ্বকাপের অবদানও আছে, ৮ ইনিংসে করেছিলেন সেখানে ৬০৬ রান। 

    “আমার মনে হয় শান্তর মতো একজন তরুণ এই মুহুর্তে বেশ ভাল অবস্থানে আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে খেলেছিল, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে কিছু তরুণ ব্যাটসম্যানকে যাতে গড়ে তোলা যায়। উপমহাদেশে তরুণ ব্যাটসম্যানকে গড়ে তোলার সবচেয়ে ভাল জায়গা হচ্ছে টপ অর্ডার”, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ডমিঙ্গো। 

    “সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিছুদিন খেলেনি, ফলে চারে ব্যাটিং করলে সে একটু জায়গা পাবে। আমরা জানি সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। তবে এই ব্যাটিং লাইন-আপই একেবারে নির্দিষ্ট না, বিশ্বকাপ অনেক দূরের পথ এখনও। একটা ব্যাটিং লাইন-আপ তৈরির আগে বিভিন্ন অপশন বাজিয়ে দেখতে হবে আমাদের”, ব্যাখ্যা করেছেন ডমিঙ্গো। 

    “অবশ্যই শান্ত দারুণ ফর্মে আছে, সাকিবকে ফিরে পাওয়াটাও দারুণ। তিন নম্বরে অবিশ্বাস্য এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছে সে। এই মুহুর্তে আমি চার, পাঁচ, ছয়ে সাকিব-মুশফিক-রিয়াদের মতো অভিজ্ঞদের ভাবছি। ফলে মিডল অর্ডারে আমরা পরিণত ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান পাব। উপমহাদেশে মিডল-অর্ডারের গুরুত্ব ব্যাপক।” 

    সাকিবের মিডল অর্ডারে ফিরে যাওয়ার সঙ্গে দলে অন্যান্যদের ভূমিকা নিয়েও এক্সপেরিমেন্ট করা হবে, জানিয়েছেন ডমিঙ্গো। সেক্ষেত্রে সৌম্য সরকারকে নিচের দিকে খেলানো হতে পারে। 

    “আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা হয়েছে এরই মাঝে, তারা তাদের ভূমিকাটা জানে। এখনও চূড়ান্ত একাদশ তাদের কাছে খোলাসা করিনি, তবে তারা কোন পজিশনে খেলবে, সেটা তারা জানে। সংবাদমাধ্যমের আগেই তারা তাই জানে, তাদের পজিশনটা।” 

    “এই মুহুর্তে টপ অর্ডারে তামিম-লিটনের জুটিকে প্রতিষ্ঠিত বলা যায়। সৌম্যকে হয়ত মিডল অর্ডারে দেখব। তবে ইনিংসের শেষদিকে পাওয়ার-হিটিংয়ের সামর্থ্য আছে, এমন কাউকে চাচ্ছি আমরা, যে একটু বোলিং-ও করবে। সৌম্য ওপরের দিকে খেলেছে সবসময়ই। তবে মৌসুম যত গড়াবে, বিভিন্ন রোলে বিভিন্ন জনকে ফিট করার চেষ্টা করব আমরা। বিশ্বকাপ আসতে আসতে যাতে সেরা ব্যাটিং লাইন-আপটা চূড়ান্ত করে ফেলতে পারি আমরা। 

    “এই মুহুর্তে রিয়াদের সঙ্গে সৌম্য যাতে ফিনিশ করতে পারে, এমন ভাবছি আমরা। তার অভিজ্ঞতা আছে, সে ক্লিন হিটার। তার ব্যাটিংয়ে আমার দারুণ আস্থা আছে। আশা করি সে পারফর্ম করতে পারবে। ছয়-সাতে খেলা সবসময়ই কঠিন, মাঝে মাঝে ওভারে দশ করে লাগবে, এরপর আপনি আবার ভাল একটা ডেলিভারির সামনে পড়বেন। কখনওবা ৫০ রানে ৫ উইকেটে এসে একটা ভাল ডেলিভারি পাবেন। কঠিন একটা পরিস্থিতি, এবং অবশ্যই এ ভূমিকায় তাকে সময় দিতে হবে।” 

    ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে সিরিজ।