সাকিবের জায়গায় মিরপুর টেস্টের স্কোয়াডে সৌম্য
মিরপুর টেস্টে সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবে বাংলাদেশ স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে সৌম্য সরকারকে। চট্টগ্রাম টেস্টে বোলিংয়ের সময় পাওয়া চোটে সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বা বোলিং কোনোটিই করেননি, উরুর চোট তাকে ছিটকে দিয়েছে মিরপুর টেস্ট থেকেও।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন সৌম্য। সে টেস্টে স্বীকৃত পেসার ছাড়াই ছিল সৌম্য, পেস বোলিংয়ের ‘অপশন’ হিসেবে ছিলেন তিনিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের আগে অবশ্য নতুন ভূমিকায়-- সাতে ব্যাটিং ও পেস বোলিংয়ে অপশন-- ভাবা হচ্ছিল তাকে। যদিও তিন ম্যাচ খেললেও এক ম্যাচেই শুধু ব্যাটিং-বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
সাকিবের মতো অলরাউন্ডার ছিটকে যাওয়ার কারণে সবসময়ই তার জায়গায় একজন ব্যাটসম্যানের সঙ্গে একজন বোলারেরও প্রয়োজন হয়। সৌম্যর স্কোয়াডে আসার কারণও হতে পারে সেটিই, ওয়ানডের মতো টেস্টেও অলরাউন্ডার অপশন হিসেবে তাকে খেলানো।
চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা একাদশের বাইরে স্কোয়াডে এমনিতেও স্পিন-অপশন নেই বাংলাদেশের, সৌম্য যুক্ত হওয়ার আগে মোহাম্মদ মিঠুন, ইয়াসির আলি রাব্বি ও সাইফ হোসেনের সঙ্গে বাইরে ছিলেন চার পেসার-- আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
এদিকে সাকিবের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্যও বড় ক্ষতি বলে মনে করেন চট্টগ্রাম টেস্টের অন্যতম নায়ক এনক্রুমাহ বনার, “তাদের জন্য তো বড় ক্ষতি। তার পারফরম্যান্স ভাল, অভিজ্ঞতা আছে। তবে এখনও তারা ভাল দল, ফলে হালকাভাবে নিচ্ছি না মোটেও। আমরা একই প্রস্তুতি নেব, যেটা ভালই যাচ্ছে আমাদের। আমাদের জন্য, দেশের মানুষদের জন্য জয়টা গুরুত্বপূর্ণ।”
আর মিরাজ বলেছেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে দায়িত্বটা বেড়ে যাচ্ছে তাদের, “অবশ্য সাকিব ভাই থাকলে অনেক ভালো হতো, আমাদের ভুলগুলো কম হত এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেশি পেতাম। কিন্তু, যেহেতু সে নাই, আমি মনে করি আমাদের স্পিনারদের দায়িত্ব নিতে হবে, আমি আছি, তাইজুল ভাই আছে, নাঈম আছে। এবং আমাদের তিন জনের ওপরে বেশি দায়িত্ব থাকবে। এবং আমরা চেষ্টা করবো ভালো জায়গায় বল করার জন্য এবং যেন আমরা খুব ওদেরকে সহজভাবে না খেলতে দেই, সেটা চেষ্টা করব স্পিনাররা।”