• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    লো-স্কোরিং ম্যাচে অলরাউন্ডার নাঈমে পার হলো প্রাইম ব্যাংক

    লো-স্কোরিং ম্যাচে অলরাউন্ডার নাঈমে পার হলো প্রাইম ব্যাংক    

    শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ১১৯ অল-আউট, ২০ ওভার (হৃদয় ২৯, তানজিদ ২১, নাঈম ৩/২৪, মনির ২/১৫, নাহিদুল ১/২২, মোস্তাফিজুর ১/২৫) 
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১২০/৭, ১৯.৩ ওভার (তামিম ৩২, রনি ২৬, নাঈম ১৮*, রকিবুল ১৮*, তানভির ৩/১২, সুমন ১/২৪, মুরাদ ১/২৭)
    প্রাইম ব্যাংক ৩ উইকেটে জয়ী  


    প্রথমে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন, প্রতিপক্ষ আটকে গেছে ১১৯ রানে। তবে নাঈম হাসানও বোধহয় তখন ভাবেননি, দ্বিতীয় ইনিংসের পর যে ম্যাচসেরার পুরস্কার নেবেন, তখন বড় একটা অবদান থাকবে তার ব্যাটিংয়েরও! ১২০ রান তাড়ায় ১৩তম ওভার শেষেই ৭ম উইকেট হারিয়ে ফেলা প্রাইম ব্যাংককে পার করানোতে তো বড় ভূমিকা ছিল তার ১৬ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসেরও। এ এমনই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, যেখানে রকিবুল হাসানের ৩৪ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসও হয়ে থেকেছে ‘মহামূল্যবান’, তানভির ইসলামে ভর করে যে ধস প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে নামিয়েছিল শাইনপুকুর, সেটি একপ্রান্তে আটকে দিয়েছিলেন রকিবুলই। 

    রানতাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে সুমন খানের বলে এজড হয়ে এনামুল হক বিজয় ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদারের ব্যাটিং বলছিল, প্রাইম ব্যাংকের জন্য কাজটা কঠিন হবে না খুব একটা। দুজনের জুটিতে ৩৫ বলে উঠেছিল ৫২ রান, আগের দিনের মতো না হলেও আক্রমণাত্মকই ছিলেন তামিম। ২৭ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি ৪ চার ও ১ ছয়ে, যার শেষটা হয়েছে জোর করে ডাবলস নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে। এরপরের উইকেটও রান-আউট, এবার ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। এতক্ষণ ওপাশে থাকা রনি এরপর হাসান মুরাদের বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করে। 



    এরপর অলক কাপালি ও নাহিদুল ইসলাম- দুজনই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তানভিরের বলে। মাঝে ১৪ রানের ব্যবধানে প্রাইম ব্যাংক হারিয়েছে ৫ উইকেট, ১ রানেই ৩টি। শরিফুল ইসলাম নেমে ১টি করে চার-ছয়ে চাপ আলগা করেছেন একটু, তবে তানভিরের তৃতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হলে সেটি বেড়েছিল আবার। নাঈম নেমে স্ট্রাইক বদলানোর কাজ করেছেন ভালভাবে, অন্যদিকে রকিবুলকেও ফেরাতে পারেনি শাইনপুকুর। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, নাঈম একমাত্র বাউন্ডারিও মেরেছেন সুমন খানের করা ১৯তম ওভারেই। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতেই টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। 

    এর আগে দিনের তৃতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করা শাইনপুকুরের প্রথম চারজনের সবাই পেরিয়েছিলেন দুই অঙ্ক, তবে সর্বোচ্চ ১১৬ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ২৯ রান ছিল অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়ের। ১০ থেকে ১৫তম ওভারের মাঝে শাইনপুকুরও হারিয়েছে ৫ উইকেট, বড় স্কোরের জন্য প্রয়োজনীয় বড় জুটিও তারা পায়নি তখন, শেষদিকে ১৩ বলে ১৬ করে অপরাজিত ছিলেন রবিউল হক। প্রাইম ব্যাংকের ৫ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। নাঈমের ৩টি ছাড়া দুটি নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন, ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন তিনি।