• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    আলাউদ্দিন বাবুর হ্যাটট্রিকের পর রূপগঞ্জকে উড়িয়ে দিল ব্রাদার্স

    আলাউদ্দিন বাবুর হ্যাটট্রিকের পর রূপগঞ্জকে উড়িয়ে দিল ব্রাদার্স    

    লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১১১ অল-আউট, ১৯.১ ওভার (নাইম ৩৮, সাব্বির ২৩, আলাউদ্দিন ৪/২১, সুজন ২/১৪, সাকলাইন ২/২২, মানিক ১/১১)
    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১১২/২, ১৫.৩ ওভার (মিজানুর ৭৪, জুনাইদ ২১, শহিদ ১/২৪, সানজামুল ১/২৬)
    ব্রাদার্স ৮ উইকেটে জয়ী


    ৫ম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছেন আলাউদ্দিন বাবু। তার ৪ উইকেটের সঙ্গে অন্য বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে রূপগঞ্জকে ১১১ রানেই আটকে দেওয়ার পর মিজানুর রহমানের ৫২ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ২৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ব্রাদার্স। 

    টসে জিতে এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রূপগঞ্জ, তবে প্রথম ওভারেই ব্রাদার্সকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন আলাউদ্দিন, আজমির আহমেদ দিয়েছিলেন ক্যাচ। চতুর্থ উইকেটে সানজামুল ইসলামকে নিয়ে নাইম ইসলামের জুটি ছিল ৩৩ রানের, তবে এছাড়া তেমন বড় জুটি হয়নি তাদের। সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৩৮ করেছেন অধিনায়ক নাইম, আর ১৮ বলে ২৩ করেছেন ছয়ে নামা সাব্বির রহমান। 



    আলাউদ্দিন হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন ইনিংসের ১৮ ও ২০তম ওভার মিলিয়ে। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে অফস্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছিলেন মুক্তার আলি, আর সোহাগ গাজি হুক করতে গিয়ে হয়েছিলেন গ্লাভড। পরের ওভারের প্রথম বলে আবারও শর্ট অফ আ লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে এজড হয়েছেন নাবিল সামাদ, তিনি ধরা পড়েছেন মিজানুরের হাতে। নাবিলের উইকেট দিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়েছে আলাউদ্দিনের। 

    বাংলাদেশের মাটিতে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে শেষ হ্যাটট্রিক করেছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ফরচুন বরিশালের হয়ে মিনিস্টার রাজশাহীর বিপক্ষে। প্রথম ২০১৩-১৪ মৌসুমে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আল-আমিন হোসেন, ইউসিবি বিসিবি একাদশের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে। ২০১৫-১৬ বিপিএলে সে কীর্তি আবারও করেছিলেন আল-আমিন, এরপর ২০১৮-১৯ মৌসুমে মানিক খান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে বিকেএসপির বিপক্ষে, সে মৌসুমেই বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে সেটি করেছিলেন আলিস আল ইসলামও, রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা বাংলাদেশীদের তালিকায় একমাত্র স্পিনারও আলিস। 

    এদিন আলাউদ্দিনের বোলিং সঙ্গী ছিলেন মানিক, যিনি ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১১ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সুজন হাওলাদার ও সাকলাইন সজিব, যথাক্রমে ১৪ ও ২২ রানে। আর ২৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন নাইম ইসলাম জুনিয়র। 

    বোলারদের কাজটা সারতে এরপর বেশি সময় নেননি ব্রাদার্সের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং জুটিতেই এসেছে ৫৩ রান, জুনাইদ সিদ্দিক ১৯ বলে ২১ রান করে ফিরলেও মিজানুর আউট হয়েছেন একেবারে শেষের দিকে গিয়ে। সোহাগ গাজিকে ছয় মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৪১ বলে, শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৮টি চার ও ৩টি ছয়। ব্রাদার্স অধিনায়কের এটি টি-টোয়েন্টি সর্বোচ্চ স্কোরও।