• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    তাসকিন-রাহি-সাকিবে ম্লান মোস্তাফিজের ৫ উইকেট

    তাসকিন-রাহি-সাকিবে ম্লান মোস্তাফিজের ৫ উইকেট    

    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১৫০/৮, ২০ ওভার (ইমন ৫০, শামসুর ৩৩, মাহমুদুল ২৩, সাকিব ২০, মোস্তাফিজ ৫/২২, কাপালি ১/১১, নাহিদুল ১/১৬, শরিফুল ১/৪৪) 
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১২৩ অল-আউট, ১৯.৩ ওভার (মিঠুন ২৫, তামিম ২০, রনি ১৯, নাঈম ১৯*, তাসকিন ৩/১৫, আবু জায়েদ ৩/৩৩, সাকিব ২/১৬, শুভাগত ১/১৪, আবু হায়দার ১/২৯)
    মোহামেডান ২৭ রানে জয়ী


    ক্যারিয়ারের যৌথ সেরা বোলিং ফিগার গড়লেন, পরে হলেন ম্যাচসেরা। তবে এদিন শুধু ম্যাচটাই জেতা হলো না মোস্তাফিজুর রহমানের। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে ১৫০ পর্যন্ত যাওয়া মোহামেডান পরে তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও সাকিব আল হাসানের তোপে প্রাইম ব্যাংককে আটকে দিয়েছে ১২৩ রানেই। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচই জিতল সাকিবদের মোহামেডান, আর তিন ম্যাচে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল তামিম ইকবালদের প্রাইম ব্যাংক। 

    রানতাড়ায় এদিনও এনামুল হক বিজয় ফিরেছেন আগেভাগেই, জায়গায় দাঁড়িয়ে তাসকিনকে টেনে মারতে গিয়ে। এদিন তিনি করেছেন ৫ বলে ৩, প্রিমিয়ার লিগের তিন ম্যাচে এখনও ৫ পেরুতে পারেননি প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক। রনি তালুকদারের সঙ্গে তামিম ইকবালের জুটি ঠিকঠাকই এগুচ্ছিল এরপর, রনি শুরুতে ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে শুভাগত হোম বদলে দিয়েছেন দৃশ্যপট- বাই থেকে ৫ রান এলেও শেষ পর্যন্ত মেইডেনের সঙ্গে পেয়েছেন তামিমের উইকেট। তামিম জায়গা ছেড়ে খেলতে গিয়ে এজড হয়ে ধরা পড়েছেন গালিতে, করেছেন সমানসংখ্যক বলে ২০। 

    তামিমের উইকেটের পর আরও ধীরগতির হয়ে গেছেন প্রথম ৭ বলে ১৬ রান করা রনি, সাকিবকে সামনে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন সমানসংখ্যক বলে ১৯। প্রাইম ব্যাংক এরপর উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে- অলক কাপালি সাকিবের বলে ক্যাচ দেওয়ার পর যথাক্রমে আবু জায়েদ ও আবু হায়দারের বলে বোল্ড হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম ও রকিবুল হাসান। একপাশে মোহাম্মদ মিঠুন টিকে ছিলেন, তবে নাঈম হাসানের সঙ্গে তার জুটিতে আসেনি ১৮ রানের বেশি। মিঠুন ফিরেছেন আবু জায়েদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে, ১৮ বলে ২ ছয়ে ২৫ রান করে। 



    নাঈম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন, মনির হোসেনের সঙ্গে ৩০ রান যোগ করলেও তাতে ব্যবধানই কমেছে শুধু পরাজয়ের। এর আগেই শরিফুল ইসলাম ক্যাচ দিয়েছেন আবু জায়েদের বলে, আর মনিরের পর মোস্তাফিজকে বোল্ড করে ম্যাচ শেষ করেছেন তাসকিন। 

    এর আগে দিনের প্রথম বৃষ্টি বাধাহীন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান পাওয়ারপ্লেতে মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারালেও তুলেছিল ৫০ রান। ১৮ বলে ২৩ রান করা জয়কে ফিরিয়েছিলেন নাহিদুল। দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমন ও শামসুর রহমান যোগ করেছেন ৫৮ রান। ইমন আক্রমণাত্মকই ছিলেন, শামসুরের বড় শটের বেশ কিছু চেষ্টা ব্যর্থ হলেও উইকেট হারাননি। ৩৭ বলে ফিফটি করা ইমন মাইলফলকে পৌঁছানোর ঠিক পরের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন অলক কাপালির বলে, তার ইনিংসে ৩টি চারের সঙ্গে ছিল ৪টি ছয়। 

    এদিনও চারে এসেছিলেন সাকিব, শামসুরের সঙ্গে জুটিতে উঠেছিল ৩৮। মোস্তাফিজের লো ফুলটসে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে মোহামেডান অধিনায়ক এদিন করেছেন ১৫ বলে ২০। নিজের তৃতীয় ওভারে গিয়ে সেই প্রথম উইকেট মোস্তাফিজ, তবে সে ওভারে ৪টি বৈধ ডেলিভারিতে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট- সাকিবের পর ক্যাচ দিয়েছেন শুভাগত, এরপর ৩৪ বলে ৩৩ করা শামসুর। 

    মাঝে ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়েছিলেন শরিফুল। আর নিজের শেষ ওভারে এসে আবু হায়দার ও তাসকিনের উইকেট দিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পাঁচ পূর্ণ করেছেন মোস্তাফিজ। এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ইডেন গার্ডেনসে। সেদিনের মতো এদিনও খরচ করেছেন ২২ রানই।