• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ২০২১
  • " />

     

    আলোচনায় ভেজা উইকেট, ১ রানে জিতল ব্রাদার্স

    আলোচনায় ভেজা উইকেট, ১ রানে জিতল ব্রাদার্স    

    শাইনপুকুর ১৫০/৩, ২০ ওভার (হৃদয় ৪৪*, সাব্বির ৪৪, তানজিদ ৩১, নুরুজ্জামান ১/৬, নাইম জুনিয়র ১/১৫, মানিক ১/২৭) 
    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৩২/৪, ১৮ ওভার (মিজানুর ৭৯*, জাহিদুজ্জামান ২৫*, তানভির ৩/১৩, মৃত্যুঞ্জয় ১/১৯)
    ব্রাদার্স ডিএলে ১ রানে জয়ী 


    বৃষ্টি থেমে গেছে, তবে পিচ খেলার উপযুক্ত নয় বলে মনে করছিলেন আম্পায়াররা। পিচের ওপর এসে আঙুল ঠুকে ঠুকে সেটি পরীক্ষাও করলেন তারা। উইকেটের কয়েকটি অংশের দিকে ছিল নজর। এরপর গ্রাউন্ডসম্যান ডেকে সেটি ঠিকঠাক করার চেষ্টা করা হলো, শাইনপুকুর কোচ তালহা জুবায়ের এসে বেশ একটু উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময়ও করে গেলেন আম্পায়ার, কিউরেটরের সঙ্গে। তবে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুরের সঙ্গে ব্রাদার্সের ম্যাচটা শুরু হতে পারলো না আর, বৃষ্টির আগে ডিএলে ১ রানে এগিয়ে থাকা ব্রাদার্স জিতল মিজানুর রহমানের ৫৬ বলে ৭৯ রানের ইনিংসে ভর করে। 

    টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা শাইনপুকুর ১৫০ পর্যন্ত গিয়েছিল সাব্বির হোসেন ও অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়ের যথাক্রমে ৩৮ ও ৩২ বলের দুটি ৪৪ রানের ইনিংসে, হৃদয় অবশ্য অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ওপেনিং জুটিতেই তানজিদ হাসান ও সাব্বিরের জুটিতে উঠেছিল ৭১ রান, অবশ্য তানজিদ ফিরেছিলেন ৩৪ বলে ৩১ করে। শেষদিকে সুমন খান করেছিলেন ৩ বলে ১০।



    রানতাড়ায় পাওয়ারপ্লে শেষ করার আগে ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ব্রাদার্স। কিছুক্ষণ পর ফিরেছিলেন রাহাতুল ফেরদৌসও। তবে মিজানুর এগিয়ে নিয়েছেন ব্রাদার্সকে। ৩৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন, বৃষ্টি নামার আগে জাহিদুজ্জামানের সঙ্গে তার জুটি অবিচ্ছিন্ন ছিল ৭৫ রানের। 

    এরপর ১৯তম ওভার শুরু করতে উদ্যতও হয়েছিলেন বোলার, তবে ডেলিভারি স্ট্রাইডে আসার আগেই আম্পায়াররা থামিয়ে দেন খেলা। কিউরেটর নুরুজ্জামানের মতে, বৃষ্টিতে আম্পায়াররা কিছুক্ষণ খেলা চালিয়েছিলেন, “বৃষ্টিতে খেলা কিছুক্ষণ চলছিল। আম্পায়ার কাভার কল করার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ-উইকেট ঢেকে দেওয়া হয়। তবুও কিছুক্ষণ সময় লাগে। আমি মাঠ উইকেট কাভার করতে যথেষ্ট সময় পাইনি। বৃষ্টি থামার পর উইকেট দেখে আম্পায়াররা খেলা চালাতে চাননি। এ সিদ্ধান্ত তো আমার নয়। টস হওয়ার পর মাঠে কী হবে সেসব সিদ্ধান্ত আম্পায়ার নেবেন। তবে আমার দিক থেকে কোনো গাফিলতি নেই।”

    মিনিট দশেক পর বৃষ্টি থামলেও এরপর আর পিচকে খেলার উপযোগী করার বেশ চেষ্টা করা হলেও আম্পায়াররা আর শুরু করেননি খেলা। এ ব্যাপারে শাইনপুকুরের মনোভাব জানতে চাইলে নুরুজ্জামান বলেছেন, “অভিযোগ তো সব সময়ই কোনো না কোনো ক্লাব করে। কিছু করার থাকে না আমাদের।”

    খেলা শেষ হওয়ার পর পিচের কী অবস্থা, সেটি দেখতে এসেছিলেন অন্য মাঠে খেলা গাজি গ্রুপের ক্রিকেটাররাও। ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলের গাজি সোহেলের সঙ্গে এ ম্যাচে অনফিল্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুল ইসলাম, রিজার্ভ আম্পায়ার ছিলেন হুমায়ুন কবির। আর ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন শওকতুর রহমান।  

    এর আগে গত ৭ জুন ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ২ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছিল ব্রাদার্স। লিগে তাদের এটি চতুর্থ জয়। অন্যদিকে ৮ ম্যাচ শেষে শাইনপুকুরের জয় দুইটি।