• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    সাঁড়াশি আক্রমণেও সুইডিশ রক্ষণ ভাঙতে পারল না স্পেন

    সাঁড়াশি আক্রমণেও সুইডিশ রক্ষণ ভাঙতে পারল না স্পেন    

    প্রায় সারাক্ষণ বল নিজেদের দখলে তারা। একের পর এক আক্রমণ, কিন্তু তারপরও লাভ হলো না স্পেনের। সুইডেনের রক্ষণ ভাঙতে পারলেন না মোরাতা, ৯০ মিনিটে তাই কোনো গোল হলো না। স্পেন-সুইডেন ম্যাচে হলো এবারের ইউরোর প্রথম গোলশূন্য ড্র।

     

    প্রথমার্ধে স্পেনের খেলায় গোল বাদে সবকিছুই ছিল। ১৯৮০ সালের পরে ইউরোতে প্রথম অর্ধে এদিন স্পেনের ৪১৯ সফল পাসের বেশি আর কারো নেই। ৮০% পজেশন রেখে একাধিপত্যের চরম উপস্থাপনা স্পেন দেখিয়েছে সেই অর্ধে। তারপরেও সুইডেনই হাফটাইমের বিরতিতে গেছে স্বস্তিতে। স্বস্তি রুপ নিতে পারত আনন্দে, যদি ভাগ্য সহায় হত সুইডেনের। আলেক্সান্ডার ইজাকের শটে বল প্রথমে গোলকিপার উনাই সিমোনকে ফাঁকি দিলেও পরে আবার মার্কোস লরেন্তের গায়ে লেগে পোষ্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে।



    প্রথমার্ধে শুধুই স্পেনের গল্প এবং তাদের দুর্বল ফিনিশিংয়ের। গোলের একেবার মোক্ষম সুযোগ মিস করেছেন আলভারো মরাতা। জর্দি আলবার চিপ শটে ডানিয়েলসেনের ভুলে একা বল পেয়ে যান মোরাতা।। ওয়ান টু ওয়ানে রবিন ওলসেনকে পেয়েও মরাতা শট মারেন বাইরে দিয়ে। এর আগেও বেশ কয়েকবার স্পেনের সুযোগ ছিল দুদলের পার্থক্যটা গোলের ব্যবধানে স্পষ্ট করার। কোকে ভালো জায়গা বানিয়ে শট মেরেছেন বাইরে দিয়ে, বারের উপর দিয়ে। 

    ডানি অলমোর হেডার আরেকবার ওলসেন দুর্দান্ত সেভ দিলে গোলবঞ্চিত হয় স্পেন। প্রথমার্ধে ০-০ স্কোরলাইনে শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান আছে সুইডেন রক্ষণেরও। যদিও বেশ রক্ষণাত্মক কৌশলেই খেলছিল তারা। তবে প্রথমার্ধ শেষে সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত। 

    দ্বিতীয়ার্ধেও বলের দখলে একাধিপত্য বজায় রেখেছে স্পেন। ৭০ মিনিট খেলেই এবারের ইউরোতে এ পর্যন্ত বেলজিয়ামের সবচেয়ে বেশি পাসের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে স্পেন। তবে শেষের ৪৫ মিনিটে সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্পেন। তবে বক্সে ভালো একটা সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন মোরাতা। কিন্তু আরেকবার ব্যর্থ হন বল জালে জড়াতে। গোলের দেখা না পেয়ে এরপর রীতিমতো হতাশায় পেয়ে বসেছিলো স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। গোলের সন্ধানে একের পর এক বদলি নামিয়েছেন। 

    ৯০ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা পাওলো সারাবিয়ার দারুণ এক ক্রস খুঁজে নিয়েছিলো আরেক বদলি জেরার্ড মরেনোকে। আবারও দুর্দান্ত সেভ দেন ওলসেন, ফিরিয়ে দেন মরেনোর হেডার। এরপর আরেকবার গোলের একেবারে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান সারাবিয়া। বাঁ পাশে বাড়ানো বল পেয়ে আলবা ক্রস করলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান সারাবিয়া। বল জালে জড়ালে সেটি আনন্দের সাথে সাথে স্পেনের জন্য হতো শান্তির এক গোল। কিন্ত সারাবিয়ার দুর্বল শটে স্পেন শান্তিতে মাঠ ছেড়ে যেতে পারেনি। কোচ লুইস এনরিকের জন্যও ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে দলের ফিনিশিং।