• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    রাশিয়াকে উড়িয়ে শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের সাথে ডেনমার্ক

    রাশিয়াকে উড়িয়ে শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের সাথে ডেনমার্ক    

    বেলজিয়াম টানা দুই জয়ে শেষ ষোলোর টিকেট আগেই কেটে রেখেছিল। তবে তাদের সঙ্গী কে হবে, সেটা ছিল অনিশ্চিত। রাশিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দ্বিতীয় হয়েছে এরিকসেনের ডেনমার্ক। প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও জায়গা করে নিয়েছে নকআউট পর্বে। বেলজিয়ামও ২-০ গোলে ফিনল্যান্ডকে হারিয়ে সেরে রেখেছে নিজেদের কাজটা। তৃতীয় হয়ে এখনো কাগজে কলমে আশা টিকে আছে ফিনল্যান্ডের। 

    বেলজিয়াম আর ডেনমার্ক ওঠায় নিশ্চিত হয়েছে, গ্রুপের তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটি হয়ে উঠছে সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে এখনো শেষ ম্যাচ না খেলা ইংল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স ও সুইডেনও অন্তত তিনে থেকে নিশ্চিত করেছে নকআউট।



    হ্যাজার্ড-ডি ব্রুইন-লুকাকদের নিয়ে পুর্ণ শক্তির দল নিয়েই নেমেছিল বেলজিয়াম। কিন্তু ম্যাচের ২৩ মিনিটের আগে টার্গেটে কোন শট নিতে পারেনি বেলজিয়াম। পুরো সময়েই তা পারেনি ফিনল্যান্ড। শুরুর ত্রিশ মিনিটে ফিনল্যান্ডের স্ট্রাইকার টিমু পুক্কির টাচ ছিল মাত্র ৫টি, তার পার্টনার পেহলানপাওর ছিল এর চেয়েও একটি কম! ম্যাচে এক্সেল উইটসেলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া প্রথম শট গোলকিপার সহজেই সেভ দিয়েছেন। এর মিনিট বিশেক পরে বেলজিয়ামের অনটার্গেটে তৃতীয় শটটা এসেছিল জেরেমি ডকুর পা থেকে। প্রথমার্ধে শেষের কয়েক মিনিট আগে বক্সের বাঁ পাশ থেকে ডান পায়ে জেরেমি ডকুর নেওয়া দারুণ সেট সেভ দিয়েছেন ফিনল্যান্ড গোলকিপার হ্রাভেকি।মাঝখানে ডি ব্রুইন ক্রসে লুকাকুকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন কয়েকবার। একবার লুকাকু বল পেলেও তার হেড ধরতে সমস্যা হয়নি ফিনিশ গোলরক্ষকের। ট্রসার্ড-উইটসেলের লং রেঞ্জের শটে গোলের চেষ্টা গেছে বৃথা। ওদিকে কোপেনহেগেনে এক গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গেছে রাশিয়া। তখন সমীকরণ এমন, ড্র করলে ফিনল্যান্ডই চলে যাচ্ছে। 

     

    ডেনমার্ক ম্যাচের মতো দ্বিতীয়ার্ধে এসেই বেলজিয়াম তাদের স্বরূপে ফিরেছে। ডি ব্রুইন-লুকাকু জুটিতে প্রথম গোলের দেখাও পেতে পারতো তাঁরা। ডি ব্রুইনের দারুণ পাসে বল পয়ে লুকাকু বল জালে জড়িয়েছিলেন। ফিনল্যান্ডের ভাগ্য ভালো, ভিআরএ এর সিদ্ধান্তে পরে একটুর জন্য অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে কোপেনহেগেনে আরেক গোল দিয়ে ব্যবধান বাড়ায় ডেনমার্ক। দুর্ভাগ্যবশত এরপর সেইন্ট পিটার্সবার্গে গোল খেয়ে বসে ফিনল্যান্ড।  কর্নারে নেয়া ভারমেলেনের হেড গোলপোস্টে লাগে। হ্রাভেস্কি কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই তার হাতে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে বল। এরপর ফিনিশ গোলকিপার যখন বল ফিরিয়েছেন, তখন সেটি গোলে পরিণত হয়ে গেছে। যেটি এবারের ইউরোতে ষষ্ঠ আত্মঘাতী গোল।

    সমতা ফেরানোর চেষ্টায় ফিনল্যান্ড সেভাবে কোনও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ডি ব্রুইন-লুকাকু জুটি শেষমেশ তাদের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়েই দাঁড়ায়। ডি-ব্রুইনের দুর্দান্ত পাসে বক্সে থাকা লুকাকু বল পেয়েই টার্ন করে ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। এ ম্যাচে পেনাল্টি বক্সের কিনারা থেকে নেওয়া হ্যাজার্ডের একটা শট বারের উপর দিয়ে গেছে। ফিনল্যান্ডের লডের শটও সামান্য উপর দিয়ে গেছে। খেলা শেষের বাঁশি বেজেছে শেষ পর্যন্ত ২-০ স্কোরলাইন নিয়েই। কোপেনহেগেনে রা

    রাশিয়া হেরেছে ৪-১ গোলে। কিন্ত ডেনমার্ক এত গোলের ব্যবধানে জিতে যাওয়ায় তাঁরা টপকে গেছে ফিনল্যান্ডকে। কোপেনহেগেনে আবেগে ভেসে গেছে ডেনিশরা। তৃতীয় স্থানে থেকে তবু ফিনল্যান্ডের আশা বেঁচে রইলো তৃতীয় স্থানধারী ছয় দলের সেরা চার দল হয়ে শেষ ষোলোতে যাওয়ার সুযোগ থাকায়।