• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    ইংল্যান্ড-চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে মদ্রিচ-পেরিসিচে শেষ ষোলোতে ক্রোয়েশিয়াও

    ইংল্যান্ড-চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে মদ্রিচ-পেরিসিচে শেষ ষোলোতে ক্রোয়েশিয়াও    

    কাগজে কলমে ইংল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র পরের পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছিল আগেই। বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার ভাগ্য ঝুলে ছিল সুতোয়। সেই অনিশ্চয়তা আজ দূর করেছে ক্রোয়েশিয়া। স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উঠে গেছে নকআউটে। ইংল্যান্ড অবশ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছে, রাহিম স্টার্লিংয়ের একমাত্র গোলে হারিয়েছে চেকদের। 

     মাউন্ট-ফোডেনদের ছাড়াই আজ একাদশ সাজিয়েছিলেন সাউথগেট। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফর্ম্যান্স শেষে এ ম্যাচে ইংল্যান্ড শুরুটা করেছিল দারুণভাবে। চেক প্রজাতন্ত্রও শুরুটা করেছিল ভালোই। ম্যাচের দুমিনিট শেষ না হতে হতেই ইংল্যান্ডের গোলের দেখাও পেয়ে যেতে পারতো। লুক শয়ের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে স্টার্লিং গতির ঝলকে চেক প্রজাতন্ত্রের ডিফেন্ডারদেরকে পরাস্ত করেছেন। এরপর তার সামনে একমাত্র বাধা গোলকিপার ভাস্লিককেও পরাস্ত করেছেন চিপ শটে বল তার মাথার উপর তুলে দিয়ে, কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত বল পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড।



    তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি ইংলিশদের। ১২ মিনিটে স্টার্লিংয়ের মাথা থেকেই এসেছে জয়সূচক একমাত্র গোলটি। বাঁ পাশ থেকে করা জ্যাক গ্রিলিশের ক্রসে সহজেই বল জালে জড়িয়েছেন স্টার্লিং।  তবে চেকরাও দলে যায়নি। গোলের কাছেও গিয়েছিল তাঁরা দুয়েকবার। সচেকের শট একবার গেছে সামান্য বাইরে দিয়ে। তবে প্রথমার্ধ শেষে স্কোরলাইন ১-০ রাখতে অবদান আছে দুই দলের গোলরক্ষকেরই। বক্সের কিনারা থেকে নেওয়া হলেশের ডান পায়ে নেওয়া দুর্দান্ত শট সেভ দিয়েছেন পিকফোর্ড। অন্যদিকে হ্যারি ম্যাগুয়েরের অসাধারণ এক বল থ্রু পাসে বাড়িয়েছিলেন হ্যারি কেইনের দিকে। বাঁ পাশ থেকে কেইন এরপর ভেতরে ঢুকে শটটাও নিয়েছিলেন ঠিকঠাক, কিন্ত ভাস্লিকের সেভে এবারের ইউরোতে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা হ্যারি কেইন গোল পাননি। তবে আগের দুই ম্যাচের তুলনায় এ ম্যাচে বেশ ছন্দেই ছিলেন কেইন। বক্সের বাইরে থেকে আরেকবার ভালো একটা শটও নিয়েছিলেন, সেবারও ভাস্লিক সেভ দেওয়াতে এবারের ইউরোতে কেইনের গোলের অপেক্ষাটা বাড়ছিলোই। 

     

    প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল চেক প্রজাতন্ত্র। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে বলের দখল বেশিরভাগ সময়েই ছিল ইংল্যান্ডের কাছেই। চেকরা সেভাবে গোলের সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। জর্দান হেন্ডারসন একবার বক্সে বল পেয়ে গোল করেছিলেন। যেটি ইংল্যান্ডের জার্সিতে তার প্রথম গোল হতো, অফসাইডে সেটি বাতিল হয়। ইংল্যান্ড প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ তৈরি করে দাপট দেখাতে পারেনি। স্টার্লিংয়ের ওই একমাত্র গোলটাই তাই ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিতে যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে। 

    স্টার্লিংয়ের আরেক গোলে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গেও ইংল্যান্ড জয়ে পেয়েছিলো। এই দুই গোলটাই ইংল্যান্ডকে গ্রুপ ডি এর শীর্ষস্থান পাইয়ে দিয়েছে। দুই গোল দিয়ে এর আগে ইউরোর ইতিহাসে যা কোন দল পারেনি। গ্লাসগোতে অন্যদিকে স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। সমান পয়েন্ট হওয়া সত্ত্বেও তাই গোল ব্যবধানে ক্রোয়েশিয়ার পেছনে পড়ে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানধারী হয়ে ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রও শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।