• ইউরো ২০২০
  • " />

     

    রোনালদোর ইতিহাস ছোঁয়ার দিন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে ফ্রান্স, সঙ্গী পর্তুগাল-জার্মানি

    রোনালদোর ইতিহাস ছোঁয়ার দিন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে ফ্রান্স, সঙ্গী পর্তুগাল-জার্মানি    

    শুধু ফ্রান্সই নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল আগে। বাকি তিন দল- জার্মানি, হাঙ্গেরি ও পর্তুগাল তিন দলেরই ছিল সুযোগ। যদিও হাঙ্গেরি উঠবে সেটা ভাবেননি কেউ। তবে সেটা আরেকটুর জন্য হতে বসেছিল, দুইবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত জার্মানির সঙ্গে ড্র করেছে হাঙ্গেরি। ওদিকে অবশ্য ফ্রান্স আর পর্তুগালের ম্যাচটাও ড্র হয়েছে ২-২ গোলে।  ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছুঁয়েছেন আলী দাইয়ির রেকর্ড।আর তাতেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চলে গেছে ফ্রান্স। দ্বিতীয় হয়ে উঠেছে জার্মানি, শেষ ১৬-তে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। আর পর্তুগাল উঠেছে তৃতীয় হয়ে, তারা খেলবে বেলজিয়ামের সঙ্গে। 

    ২০১৬ ইউরোতে এই ফ্রান্সের বিপক্ষেই চোখের পানিতে মাঠ ছেড়েছিলেন রোনালদো। পরে অবশ্য সেই পানি পরিণত হয়েছিল আনন্দাশ্রুতে। এরপর অনেকটা সময় পার হয়েছে, তবে ফ্রান্সকে পেয়ে আজ অন্য ইতিহাস লেখার জন্য বেছে নিয়েছেন রোনালদো। তবে আজকের ম্যাচে রোনালদো ছাড়াও আলোচনায় থাকবেন রেফারিও।



    ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলের খেলা কিছুটা অগোছালোই ছিল। ৩০ মিনিটে হঠাৎ করেই পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। একটা ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফিস্ট করেছিলেন ফ্রাবস গোলরক্ষক হুগো লরিস। কিন্তু সেটা সোজা গিয়ে লাগে দানিলোর মাথায়, ব্যথায় পরে যান এই মিডফিল্ডার। লরিস যদিও বলে টাচ করেছিলেন, কিন্তু খানিকটা অবাক করেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করে রোনালদো এগিয়ে দেন দলকে।

    এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবার নাটক। একটা চিপ থেকে এমবাপ্পে বল ধরার জন্য দৌড় দিয়েছিলেন, কিন্তু সেমেদোর ধাক্কায় পড়ে যান। রিপ্লে দেখে  সেটা পেনাল্টি হওয়ার মতো গুরুতর মনে হয়নি, কিন্তু এবারও পর্তুগালকে স্তম্ভিত করে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। ভিএআর পর্যন্ত যে যায়নি, এটাও বড় একটা বিস্ময়। এবার করিম বেনজেমা এগিয়ে আসেন কিক নিতে, গোল করে সমতায় ফেরান।

    বিরতির আগে বেনজেমা যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, বিরতির পর শুরু করলেন সেখান থেকে। এবার পগবার দারুণ একটা থ্রু থেকে ধরে বল জালে জড়িয়ে দেন। প্রথমে অফসাইড দেওয়া হলেও ভিএআরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়, বেনজেমা পান দ্বিতীয় গোল। পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে সময় ভালো যাচ্ছিল না তার, গোল করে সেটি স্মরণীয় করে রাখলেন।

    তবে এই গোলের পর আবার রেফারি দৃশ্যপটে। এবার রোনালদোর একটা ক্রস গিয়ে লাগে কৌন্ডের হাতে, এবার অবশ্য সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ছিল না। রোনালদো আবার ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন। ছুঁয়ে ফেলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলি দাইয়ির সবচেয়ে বেশি ১০৯ গোলের রেকর্ড। খানিক পর আরেকটা হেডে রেকর্ড ভেঙেই ফেলেছিলেন, তবে হেড একটুর জন্য চলে যায় বাইরে দিয়ে। এরপর ফ্রান্সও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েহচিল। কিন্তু পল পগবার শট অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার পর গিরজমানকেও ফিরতি শতে গোলবঞ্চিত করেন রুই প্যাট্রিসিও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা শেষ হয়েছে ২-২ গোলের ড্রতেই।