• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালঃ ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হতে পারে যে চার জায়গায়

    অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালঃ  ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হতে পারে যে চার জায়গায়    

    একদল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচের পর আর হারেনি। আরেক দল ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচ ছাড়া জিতেছে সবগুলোই। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া যেই জিতুক না কেন, এটি হবে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা।কিন্তু ফাইনালের ভাগ্য ঠিক হতে পারে কোন কোন জায়গায়?

    আগে ব্যাট করে সতর্ক হওয়া যাবে না 

    ধরে নেওয়া যেতে পারে, ফাইনালে টসে জেতা মানে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া। চোখ বন্ধ করেই ফিল্ডিং নেবেন ফিঞ্চ বা উইলিয়ামসন। সেমিফাইনালে দুই দল জিতেছে রান তাড়া করে। সত্যি বলতে দুবাইয়ে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচের ১৬টিতেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল।

    কিন্তু টস তো ভাগ্যের খেলা। আগে ব্যাট করা দলগুলো কীভাবে জিতবে? এই বছরের আইপিএল ফাইনালটা উদাহরণ হতে পারে। চেন্নাই শুরুতে ব্যাট করে ১৯২ রান করেছিল। কেকেআর সেটা তাড়া করে জিততে পারেনি। চেন্নাইয়ের এই ফর্মুলাই অনুসরণ করতে হবে আগে ব্যাট করা দলকে। শুরু থেকেই করতে হবে আগ্রাসী। এই ভুলটাই হয়তো করেছে পাকিস্তান বা ইংল্যান্ড। শেষ দিকে ঝড় তুললেও শুরুটা সামান্য স্লথ হওয়ায় তাদের রান ১৮০ এর বেশি হয়নি। যে কারণে দুই ম্যাচেই এক ওভার হাতে রেখে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। যদিও এখনো শিশিরের খুব বেশি প্রভাব দেখা যায়নি। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে গত ৫ বছর ধরেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। তাই আজ যে আগে ব্যাট করুক না কেন, শুরু থেকে রান তুলতে হবে দ্রুত। 

     

    অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতিপক্ষ স্পিন?

    সেমিফাইনালে জিতে গেলেও একটা সময় মনে হচ্ছিল শাদাব খান ম্যাচ বের করে নেবেন। চার উইকেট নিয়েছিলেন এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনার, তাকে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন স্মিথরা। রিস্ট স্পিনের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের রেকর্ড বেশি সুবিধার নয়। এই বছরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র ভুগিয়েছেন তাদের। 

    ওদিকে নিউজিল্যান্ড স্পিনার ইশ সোধির রেকর্ডও অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে ভালো, ৯ ম্যাচে মাত্র ১২ স্ট্রাইক রেটে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস স্টয়নিস আউট হয়েছেন তিন বার করে। ডেভিড ওয়ার্নার আট বল খেলে দুবার আউট হয়েছেন সোধির বিপক্ষে। আজ এই স্পিনারকে শুরু থেকেই কাজে লাগাতে চাইতে পারে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্যান্টনারের রেকর্ডও ভালো। ৯৫ বল করে রান দিয়েছেন ৯৩, শুধু মিচেল মার্শেরই তার বিপক্ষে ১২০ এর বেশি স্ট্রাইক রেট আছে।

     

    জ্যাম্পাকে সামলাবে কীভাবে? 

    এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বোলিং অস্ত্র অ্যাডাম জ্যাম্পা। এই লেগ স্পিনার ১২ উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত, সুপার ১২ থেকে সবচেয়ে বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ডান হাতি ব্যাটসম্যানদের চেয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষেই জ্যাম্পার রেকর্ড বেশি ভালো। আবার গাপটিলের রেকর্ড জ্যাম্পার বিপক্ষে দুর্দান্ত, রান করেছেন প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে। গ্লেন ফিলিপসের রেকর্ডও স্পিনের বিপক্ষে বেশ ভালো। জ্যাম্পা আসলে এই দুজনকে কাজে লাগাতে চাইবে নিউজিল্যান্ড। 

    কনওয়ের বিকল্প কে? 

    ডেভন কনওয়ে হাতের চোটে ছিটকে পড়ার পর টম সেইফের্ট নামবেন তার বদলে, নিশ্চিত করেছেন উইলিয়ামসন। যার মানে কিউইদের প্রথম পাঁচ জনে সবাই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অবশ্য ম্যাচ আপের সুবিধা করতে নিশম বা স্যান্টনারের কেউ ওপরে চলে আসতে পারেন। তখন একজন বাঁহাতি যোগ হতে পারে টপ অর্ডারে। কনওয়ে সেমিতে বেশ ভালো একটা ইনিংস খেলেছিলেন, সেইফের্ট তার অভাব কতটা পূরণ করতে পারবেন?