• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    বিশ্বকাপের সুবাস পাচ্ছে পর্তুগাল, অন্তিম সময়ে ইতালির স্বপ্নভঙ্গ

    বিশ্বকাপের সুবাস পাচ্ছে পর্তুগাল, অন্তিম সময়ে ইতালির স্বপ্নভঙ্গ    

    এক টিকিটের জন্য লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল সর্বশেষ দুই ইউরোর চ্যাম্পিয়নদের। সবাই স্বপ্ন দেখছিল নিজস্ব সেমিতে জিতে মুখরোচক প্লে-অফ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইতালি-পর্তুগাল । কিন্তু ডু অর ডাই ম্যাচে পর্তুগাল উতরে গেলেও অন্তিম সময়ে হেরে বাদ পড়েছে ইতালি। ফুটবল বিশ্বকে থমকে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়েছে আজ্জুরিরা।  

    বৃহস্পতিবার প্লে-অফের ‘সি’ গ্রুপের সেমি ফাইনালে তুরস্কের বিপক্ষে মাঠে নামে পর্তুগাল। ঘরের মাঠে নিজস্ব ছন্দেই খেলা শুরু করে পর্তুগিজরা। প্রথম কয়েক মিনিটে বলার মতো কিছু আক্রমণ করার পর ১৫ মিনিটেই গোলের খাতা খুলে তারা। বক্সের বাঁপাশ থেকে কাছের পোস্টে শট নেন ডিয়গো জোটা। তার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল গিয়ে পড়ে বক্সের ডান পাশে ফাঁকা থাকা ওটাভিওর পায়ে। তার শটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। 

    শুরুতে পিছিয়ে যাওয়ার পর তুরস্ক একটু আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে। কিন্তু কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি। বরং প্রথমার্ধে শেষদিকে দুর্দান্ত এক আক্রমণে দ্বিতীয় গোল করে স্বাগতিকরা। ৪০ মিনিটের দিকে পর্তুগালের চাপে নিজেদের ডিবক্সে বন্দী হয়ে যায় তুরস্ক। বক্সের বাইরে থেকে রাইট উইংয়ে থাকা ওটাভিওকে পাস দেন মুটিনহো। ওটাভিও সেই বলকে তুলে দিয়ে ক্রস পাঠান ডিবক্সে। দৌড়ে এসে পরিমিত লাফ দিয়ে দুর্দান্ত এক হেড করে সেই ক্রসকে গোল বানান জোটা। 

    দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই প্রায় সমান তালে খেলা শুরু করে। কিন্তু ৬৫ মিনিটে তুরস্কের করা এক গুছানো আক্রমণ বদলে দেয় ম্যাচের চেহারা।  লেফট উইং থেকে বক্সের সামনে বল পান তুরস্কের স্ট্রাইকার বোরাক ইলমাজ। সেই বল ডান পাশে থাকা চেঙ্গিস উন্ডারের কাছে পাঠিয়ে বক্সের ভেতর দৌড় দেন ইলমাজ। দুর্দান্ত এক থ্রু বলে বক্সের ভেতর ইলমাজকে খুঁজে নেন চেঙ্গিস। আর তাতে শট করে তুরস্ককে ম্যাচে ফেরান ৩৬ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। 

    ৮১ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় তুরস্ক। জোসে ফঁতের ফাউলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করেন ইলমাজ। বিশ্বকাপের পৌঁছানোর শেষ সুযোগটি হাতছাড়া করে তুরস্ক। 

    এই গ্রুপের অপর ম্যাচে উত্তর মেসিডোনিয়ার মুখোমুখি হয় ইতালি। পালেরমোতে পুরো ৯০ মিনিটই ম্যাচের দখল ধরে রেখেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ৬৬ শতাংশ বলের দখল ও ৩২টি শট নিয়েও কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা। ম্যাচে একটিও বড় সুযোগ তৈরি করতে না পারা মেসিডোনিয়া সব আলো কেড়ে নেয় যোগ করা সময়ের এক মিরাকলে। ৯২তম মিনিটে বদলি স্ট্রাইকার মিয়ভস্কি সামনের দিকে বল পাঠান। তার পাঠানো বলে ডান পায়ের এক অস্বাভাবিক শটে ২৫ গজ দূর থেকে দোনারুমাকে পরাস্ত করেন ত্রাকভস্কি। দূরপাল্লার গোলে ছিনিয়ে নেন অভাবনীয় এক জয়। 

    ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ১২ মাসের মধ্যেই আরেকটি কালো অধ্যায় দেখতে হলো চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। ২৯ মার্চ পর্তুগালের বিপক্ষে প্লে-অফ ফাইনালে মুখোমুখি হবে উত্তর মেসিডোনিয়াই। 

    দিনের অপর দুই ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়েছে সুইডেন, এবং গ্যারেথ বেলের জোড়া গোলে অস্ট্রিয়াকে হারিয়েছে ওয়েলস।