• ইউয়েফা নেশনস লিগ
  • " />

     

    কেইনের পেনাল্টিতে জার্মানি-ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ভাগাভাগি

    কেইনের পেনাল্টিতে জার্মানি-ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ভাগাভাগি    

    জার্মানি ১:১ ইংল্যান্ড 


    ইউয়েফা নেশনস লিগর গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ড্র করেছে জার্মানি ও ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে গোল করেছেন জোনাস হফম্যান, সফরকারীদের হয়ে হ্যারি কেইন। 

    গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে হেরে সবার ভ্রু কুঁচকানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। গ্রুপের অপর দুই দল- জার্মানি ও ইতালিকে পাশ কাটিয়ে হ্যারি কেইনরা পরের পর্বে যেতে পারবে কি না, সে প্রশ্ন তখনই রাখতে শুরু করেছিলেন ফুটবল পণ্ডিতরা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা না পাওয়ায় ইংল্যান্ডের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা আরেকটু বেড়েছে বলেই মানছেন সংশ্লিষ্টরা।   

    বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হয় এই ম্যাচ। ডাগআউটে ছিলেন বায়ার্নেরই সাবেক ম্যানেজার হ্যান্সি ফ্লিক। এ ম্যাচ দিয়েই দলকে ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলানো শুরু করেন ফ্লিক। রক্ষণের তিনে অ্যান্তনিয়ো রুডিগারের সঙ্গে জায়গা করে নেন ফ্রাইবার্গ সেন্টারব্যাক নিকো স্লটারব্যাক ও লাইপজিগ সেন্টারব্যাক লুকাস ক্লোস্টামান। উইংব্যাক হিসেবে খেলেন হফম্যান ও ডেভিড রাউম।

    এই বদলে যাওয়া একাদশ নিয়ে বেশ ভালোই শুরু করে স্বাগতিকরা। প্রথম মিনিট থেকে নিজেদের পায়ে বল রেখে ইংল্যান্ডের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তারা। ম্যাচের নবম মিনিটে স্লটারব্যাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হয়ে যান ইংলিশ মিডফিল্ডার কেলভিন ফিলিপস। তাকে বদলে নামানো হয় ডর্টমুন্ড তারকা জুড বেলিংহামকে। 

    ১৬ মিনিটে হফম্যানের ক্রস থেকে প্রায় গোল দিয়েই বসেছিলেন মুসিয়ালা। তার দুর্বল শট দ্বিতীয় চেষ্টায় ঠেকাতে সমর্থ হন ইংল্যান্ড কিপার জর্ডান পিকফোর্ড। এর আট মিনিটের মধ্যে অবশ্য পিকফোর্ডকে পরাস্ত করতে সমর্থ হন হফম্যান। কিন্তু অফসাইডের জন্য বাতিল হয় সেই গোল। 

    প্রথমার্ধের শেষে আট মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। এই আট মিনিটে দুই দলই একাধিক আক্রমণ করে। প্রথমে ৪৫ মিনিটে জার্মানির ফ্রিকিক থেকে আসা বল গোল-লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন হ্যারি কেইন। ফিরতি বলে নেওয়া মুসিয়ালার শট ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। 

    পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে জার্মানির রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেন সাকা। তবে গোলের ডানপাশ থেকে তার নেওয়া শট ফেরাতে সক্ষম হন ম্যানুয়েল নয়্যার। তিন মিনিট পর আরেকটি আগুন গতির শট নেন সাকা। কিন্তু সেটি বারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। 

    প্রথমার্ধের মতোই আগ্রাসী ভঙ্গিমায় দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে জার্মানি। এবার ফলও পায় স্বাগতিকরা। ৫০ মিনিটে কিমিখের বাড়ানো বলে শট নেন হফম্যান। ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া সেই শট হালকা ডিফ্লেক্টেড হয়ে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ডের জালে। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। 

    দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে আরও বেশ কিছু আক্রমণ করে জার্মানি। জ্যাক গ্রিলিস ও জ্যারড বোয়েন বদলি হিসেবে নামার পর থেকে ইংল্যান্ডও আরেকটু গুছানো ফুটবল খেলতে শুরু করে। ৮৪ মিনিটে রাইট উইং থেকে করা বোয়েনের ক্রস ক্লোস্টারমান কোনোভাবে ক্লিয়ার করতে সমর্থ হলেও পরের মিনিটেই লেফট উইং থেকে আরেকটি ক্রস করেন গ্রিলিস। বক্সে একদম ফাঁকা পেলেও বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন কেইন। বরং উলটো হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। ইংল্যান্ড শিবির সাথে সাথেই পেনাল্টির জন্য চেঁচামেচি শুরু করলেও তাতে কান দেননি রেফারি। অপর প্রান্তে পাল্টা আক্রমণ করে প্রায় গোলই দিয়ে বসছিলেন সানেরা। 

    তবে কিছুক্ষণের মাঝেই ভিএআরের পরামর্শে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন রেফারি। রিপ্লেতে দেখা যায় কেইন পড়ে যাওয়ার আগে পিছন থেকে তাকে অল্প স্পর্শ করেছিলেন স্লটারব্যাক। পেনাল্টি দেওয়া হয় সফরকারীদের। 

    সেই পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান কেইন। ইংল্যান্ডের হয়ে তার ৫০তম গোল এটি। ববি চার্লটনকে পিছনে ফেলে দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে গেছেন এই স্পার্স তারকা। তার সামনে রয়েছেন শুধু ওয়েইন রুনি (৫৩)।