• ইউয়েফা নেশনস লিগ
  • " />

     

    সুপারসাব হোসেলোর গোলে ফাইনালে স্পেন

    সুপারসাব হোসেলোর গোলে ফাইনালে স্পেন    

    স্পেন ২:১ ইতালি


    লুইস দে লা ফুয়েন্তে যুগের শুরুটা ভালোই হয়েছে স্পেনের জন্য। এই বর্ষীয়ান ম্যানেজারের তৃতীয় ম্যাচেই একটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট কাটল স্পেন। বৃহস্পতিবার হল্যান্ডের এনস্রাডেতে ইউয়েফা নেশনস লিগ ‘এ’-র সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই ইউরোপীয় পরাশক্তি স্পেন ও ইতালি। এতে একদম শুরু (পিনো, ৩য় মিনিট) ও একদম শেষে (হোসেলো, ৮৮ মিনিট) গোল করে জয় তুলে নেয় স্পেন। 

    রবার্তো মানচিনির ইতালি রীতি অনুযায়ী এই ম্যাচও শুরু করে রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে। পিছন থেকে খেলতে গিয়েই প্রথম ভুল করে তারা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে একটি ব্যাকপাস থেকে বল পাওয়া গোলরক্ষক দোনারুমা স্পেনের ফরওয়ার্ডদের চাপে বল পাঠান তার সামনে থাকা লিওনার্দো বনুচ্চির কাছে। ৩৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ডানদিক থেকে ধেয়ে আসা মোরাতার কাছ থেকে সরে আসলেও বাঁ পাশ থেকে আসা ইয়েরেমি পিনো বল ছিনিয়ে নেয় তার কাছ থেকে। এবং সামনে এগিয়ে জালে জড়ায় বল। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই এগিয়ে যায় স্পেন। 

    স্পেনকে অবশ্য বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে দেয়নি ইতালি। ১০ম মিনিটে জর্জিনোর বাড়ানো বলে শট করেন জানিওলো। তার শট ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় ইতালি। যেই পেনাল্টি জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান সিরো ইমোবিলে। 

    ম্যাচের একদম শেষপ্রান্তে, যখন অতিরিক্ত সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল ইতালি, তখন হুট করে আরেকটি গোল করে বসে স্পেন। এস্পানিওলের ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার হোসেলুর পা থেকে আসে সেই গোল। ৮৮ মিনিটে বক্সে একাধিকবার বল ঘুরানোর পর লেফট উইং থেকে ক্রস করেন জর্ডি আলবা। আচেরবি সেই ক্রস ক্লিয়ার করলেও তার গিয়ে পরে বক্সের সামনে থাকা রদ্রির পায়ে। রদ্রি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় একটি দূরপাল্লার পাওয়ার শট নেন। কিন্তু তার শট দুজন ডিফেন্ডারের গায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে গোলরক্ষক বরাবর যেতে শুরু করে। গোলরক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হোসেলু সেই ডিফ্লেক্টেড বলে পা ছুঁইয়ে স্পেনকে এনে দেন জয়সূচক গোল। 

    দে লা ফুয়েন্তের অধীনে নিজেকে একজন সুপারসাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছেন হোসেলু। গত মার্চে নরওয়ের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া হোসেলুর গোলসংখ্যা এখন ৩ ম্যাচে ৩। নরওয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৮১ মিনিটে মাঠে নেমে করেছিলেন জোড়া গোল। ইতালির বিপক্ষে ৮৪ মিনিটে নেমে করলেন তর্কসাপেক্ষে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল। তার এই গোলে আরেকটি আন্তর্জাতিক ফাইনাল খেলার সুযোগ পাচ্ছে স্পেন, দে লা ফুয়েন্তে পাচ্ছেন একটি শিরোপা জিতে তার স্পেন ক্যারিয়ার শুরু করার সুযোগ।