অ্যাডিলেইডে 'শিলা-ঝড়ে' উড়ে গেল ভারত
সুপার ১২, অ্যাডিলেইড (টস-ইংল্যান্ড/বোলিং)
ভারত- ১৬৮/৬, ২০ ওভার (হার্দিক ৬৩, কোহলি ৫০, রোহিত ২৭, জর্ডান ৩/৪৩, রশিদ ১/২০, ওকস ১/২৪))
ইংল্যান্ড- ১৭০/০, ১৬ ওভার (হেইলস ৮৬*, বাটলার ৮০*, আরশদীপ ০/১৫)
ফলাফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী
ভারতকে পাড়ার দল বানিয়ে ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড। ভিরাট কোহলি আরও একটি সেমি-ফাইনালে ফিফটি পাওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল ভারত। তবে অ্যালেক্স হেইলস-জস বাটলার জুটি অপরাজিত থেকে ১৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে দোর্দণ্ড প্রতাপে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে পাওয়ারপ্লেতেই ৬৩ রান তুলে ফেলেছিল দুই ইংলিশ ওপেনার। ২৮ বলে হেইলস ফিফটি পূর্ণ করার পর ৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করে বাউন্ডারির মিছিলে যোগ দেন বাটলার। ৬৬ রানে বাটলার একবার জীবন পেলেও অবিচল ছিলেন তিনি। পরে ৪৯ বলে ৮০* রান করে বাটলার ও ৪৭ বলে ৮৬* রান করে হেইলস অপরাজিত থাকলে ইংল্যান্ড জয় পায় অনায়াসেই।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরছিলেন লোকেশ রাহুল। ভিরাট কোহলির সাথে এরপর জুটি বেঁধে ইনিংস মেরামত শুরু করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। তবে খুব একটা সুবিধা করতে না পারায় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন রোহিত, সেটার সুযোগ নিয়েই জর্ডান তাকে থামান। কারানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ২৮ বলে ২৭ রানে রোহিত ফেরার পর রশিদের আঘাতে সূর্যকুমারও ফেরেন ১৪ রানে। সেখান থেকে লিভিংস্টোনের সাথে জুটি বেঁধে দারুণ এক স্পেলে রশিদ চেপে ধরেন কোহলি ও উইকেটে নবাগত হার্দিক জুটিকে।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে দলীয় শতরান ছোঁয় ভারত। সেখান থেকে গিয়ার পালটানোর তাগিদেই ভিরাট কোহলি নিজের তৃতীয় সেমি-ফাইনালে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৯ বলে। তবে ফিফটি পাওয়ার পরে জর্ডানের বলে ফিরে যান তিনি। সেখান থেকে ঝড় তুলেন হার্দিক। স্যাম কারানের করা ১৯তম ওভার থেকে ২০ রান তুলে ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বলে। শেষ ওভারে ঋষাভ পান্ট ফেরার পর শেষ বলে হার্দিক হিট আউট হয়ে থামেন ৩৩ বলে ৬৩ রান করে। ভারত ১৬৮ রানে পৌঁছালেও দিনশেষে ইংল্যান্ড সেটাকে ছেলেখেলা বানিয়েই ফাইনালে চলে গিয়েছে।