• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ডাচদের

    আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ডাচদের    

    সেনেগাল ০:২ নেদারল্যান্ডস


    সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডসের জন্য যেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিই ছিল এক ফাইনাল, গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল। শক্তিমত্তায় ইকুয়েডর ও কাতারের চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে থাকা এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে পূর্বানুমান অনুযায়ী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই হলো। কোডি গাকপো ও ডেভি ক্লাসেনের গোলে এতে শেষ হাসি হাসল নেদারল্যান্ডসই। 

    দুই দলের মাঝে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল এটি। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচটি যে বেশ কঠিন হবে তা আগেই স্বীকার করেছিল ডাচ শিবির। তবে আট বছর পর বিশ্বকাপে খেলতে নামা হল্যান্ড শুরুটা তাদের মনমতোই করে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় তারা। দুর্দান্ত এক থ্রু বলে গোলকিপারের সামনে বল পেয়ে যাওয়া গ্যাকপো শট না নিয়ে কাটব্যাক করেন। কিন্তু তার পাস অল্পের জন্য বারগুয়াইন ও পরে ইয়ানসেনের সামনে দিয়ে চলে যায়। 

    প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে ডাচরা। সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিলেন ডি ইয়ং। ১৮ মিনিটে সেনেগালের এক কর্নার থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে হল্যান্ড। ডানপাশ থেকে বল নিয়ে উঠে পিচের মাঝখানে থাকা বারগুইসকে পাস দেন বার্গুয়াইন। বারগুইস নিজেও বামে পাস দেন, গোলকিপারের সামনে একদম ফাকা বল পেয়ে যান ডি ইয়ং। কিন্তু বক্সে বল থামিয়ে গড়িমসি করা ডি ইয়ং আর কাঙ্ক্ষিত শটটি নিতে পারেননি৷ 

    ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া সাদিও মানের অনুপস্থিতি যে সেনেগাল অনুভব করবে তা অনুমিতই ছিল। দলের মূল তারকার অনুপস্থিতিতে প্রথমার্ধে তেমন জুতসই আক্রমণই করতে পারেনি আফ্রিকান দলটি। তবে ডাচদের আক্রমণের মুখে কুলিবালি-সিসেরা দেখাতে সক্ষম হয়েছে তাদের রক্ষণ কতটা শক্তিশালী। 

    দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা নেতিয়ে যাওয়া হল্যান্ড সেনেগালের সামনে মুখোমুখি ও এরিয়াল ডুয়েলে বল খোয়াতে শুরু করে। সেই সুযোগে বল দখল রেখে বেশ কিছু আক্রমণও করে সার-দিয়াতারা। ৬৪ মিনিটে গোলমুখে প্রথম শট নেয় সেনেগাল। বক্সের ডানপাশ থেকে নেওয়া দিয়ার সেই শট অবশ্য ফেরাতে সক্ষম হন হল্যান্ড কিপার আন্দ্রিয়েস নপার্ট। এরকম আরও কিছু আক্রমণ শেষেও যখন গোলের দেখা পাচ্ছিল না কেউ, তখন মনে হচ্ছিল গোলশূন্য এক ফলাফলের দিকেই এগুচ্ছে ম্যাচ। 

    কিন্তু ৮৪ মিনিটে পিচের বাঁপাশ থেকে নেওয়া দুর্দান্ত এক লং বলে বদলে যায় সবকিছু। ডি ইয়ংয়ের ক্রস সেনেগাল কিপার এডওয়ার্ড মেন্ডির দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু লাফিয়ে পড়ে বল ধরতে যাওয়া মেন্ডির সামনে এসে তাতে মাথা ছোঁয়ান কোডি গাকপো। গোলমুখে নেওয়া প্রথম এটেম্প থেকেই গোল পেয়ে বসে হল্যান্ড। 

    যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে এক রিবাউন্ড থেকে আরেকটি গোল করে বসেন বদলি নামা ক্লাসেন। ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লুই ভ্যান গালের দল।