• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলের সঙ্গে আরেকটি গোলশূন্য ড্র উপহার দিল ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো

    ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলের সঙ্গে আরেকটি গোলশূন্য ড্র উপহার দিল ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো    

    মরক্কো ০:০ ক্রোয়েশিয়া


    টুর্নামেন্ট ফেভারিট আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সৌদি আরবের অঘটনের পর মনে হচ্ছিল যেন নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে এবারের আসরে। কিন্তু সে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি গোলশূন্য ড্র দেখল কাতার বিশ্বকাপ। সর্বশেষ ড্রটি এসেছে গ্রুপ এফ থেকে। আজ বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কো। 

    গত আসরের রানার আপ ক্রোয়েশিয়াকে ঘিরে এবার আগে থেকেই তেমন হাইপ নেই। ৩৯ লাখ জনসংখ্যার এই দেশ থেকে গত চার বছরে উঠে আসেনি কোনো বড় তারকা। ‘১৮ বিশ্বকাপ মাতানো তারকাদের সবাই-ই বলতে গেলে বুড়িয়ে গেছেন। মদ্রিচ, লভ্রন, ব্রজোভিচ, পেরিসিচ, ক্রামারিচ; দলের তারকা খেলোয়াড়দের সবার বয়সই ৩০-এর উপর। অধিনায়ক মদ্রিচের বয়স ৩৭। এই বয়স্ক একাদশ নিয়ে আল বায়াত স্টেডিয়ামে খারাপ না খেললেও দর্শকদের মন জয় করার মতো ফুটবল উপহার দিতে পারেনি জলাটকো ডালিচের দল।    

    প্রথমার্ধে দুই দলই ধারহীন ফুটবল খেলেছে। পুরো ৪৫ মিনিটে আলজেরিয়ার সবচেয়ে বড় আক্রমণ ছিল লেফট উইং থেকে হাকিম জিয়েশে করা এক ক্রস, যাতে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন মরক্কো স্ট্রাইকার এন-নেসেরি। ক্রোয়েশিয়া ৪৫ মিনিটে আক্রমণ করার সুযোগ খুব-একটা না পেলেও যোগ করা সময়ে (দুই মিনিট) মরক্কোর রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল মদ্রিচ-ভ্লাসিচরা। প্রথমে মরক্কো বক্সে পাঠানো ক্রোয়েশিয়ার এক লং বল ডিবক্স লাইনের দ্বারপ্রান্তে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাঞ্চ করেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বনো। ফিরতি বল নিয়ে বাঁপাশ থেকে ক্রস করেন ক্রোয়েশিয়া রাইটব্যাক সোসা। ক্রামারিচ এক টাচে শট নিলেও সেটি ফেরাতে সক্ষম হন বনো। পরের এক মিনিটে আরও দুটি আক্রমণ করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু প্রথম আক্রমণ ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসার পর লুকা মদ্রিচের মারা দূরপাল্লার শট গোলের উপর দিয়ে চলে যায়।     

    দ্বিতীয়ার্ধেও মাঠের ফুটবলে তেমন পরিবর্তন আসেনি। দুই বিশ্বমানের ফুলব্যাক, নুসাইর মাজরাওয়ি (বায়ার্ন মিউনিখ) ও আশরাফ হাকিমির (পিএসজি) বরাতে দুবার ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষককে অস্বস্তিতে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল মরক্কো। কিন্তু মাজরাওয়ির হেড ও হাকিমির দূরপাল্লার শট দুটিই ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। 

    ম্যাচের ৯০ মিনিট সবচেয়ে স্বস্তিতে কেটেছে অবশ্য দুই গোলরক্ষকেরই। দুই দল মিলে এদিনে গোলমুখে শট নিয়েছে মাত্র চারটি। কোনোটিই ফেরানোর অযোগ্য না।