যে কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আশা দেখছেন হাথুরু
সর্বশেষ ইংল্যান্ড যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিল, চন্ডিকা হাথুরুসিংহেই ছিলেন কোচ। দেশের মাটিতে সেবার ওয়ানডে সিরিজে লড়াই করেও হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দেশের মাঠে ২০১৬ সালের সেই সিরিজের পর সাড়ে বছরে আর কোনো সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। আবার ইংল্যান্ড আসছে বাংলাদেশে, এবার সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাই দেখছেন হাথুরু। একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলবে।
আজ যখন বাটলাররা বাংলাদেশে প্রস্ততি নিচ্ছেন, ইংল্যান্ড অবিশ্বাস্য এক টেস্ট ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ডে। এই ওয়ানডে দলে তাই স্টোকস, রুটসহ টেস্ট দলের কেউ নেই। পিএসএলের জন্য ছুটি নিয়েছেন অ্যালেক্স হেলসের মতো কেউ কেউ। এদের না থাকাটা সুযোগ হিসেবে দেখছেন হাথুরুসিংহে, 'আমরা পূর্ণ শক্তির দল। তবে ইংল্যান্ড ঠিক পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে আসেনি। নিজেদের স্কিল আর শক্তির জায়গাতেই তাই ভরসা রাখছি। এটাও বলতে হবে ওরাও দুর্দান্ত। গত দশ বছরে স্কোয়াডে দারুণ ডেপথ নিয়ে এসেছে। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দল, কোচ এমন ডেপথ তৈরি করতে চায়। আশা করি আমিও এমন কিছু করে যেতে পারব। '
অবশ্য আর্চার, উডদের নিয়ে পেস অ্যাটাকটা দারুণ ইংল্যান্ডের। হাথুরু তাই ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণ নিয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন দলকে, 'হ্যাঁ, তাদের পেস আক্রমণ অনেক ভালো, বিশ্বের অন্যতম সেরা। পাঁচজন পেসার ও তিন স্পিনারের বিপক্ষে আমাদের কাজটা সহজ হবে না।'
সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটেই এখন চ্যাম্পিয়িন ইংল্যান্ড। তাদের বিপক্ষে খেলাটাও সুযোগ হিসেবে দেখছেন হাথুরু, 'ওরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল। স্কোয়াড ডেপথ দেখুন, দুই জায়গায় ওদের দল খেলছে। অবশ্যই ওদের বিপক্ষে খেলতে পারাটা আমাদের জন্য সুযোগ। তবে এটাও ঠিক, এটার জন্য দলকে আলাদা করে অনুপ্রাণিত করার দরকার নেই। জাতীয় দলে খেলতে পারাটাই একটা অনুপ্রেরণা।'
তবে ফল যাই হোক, বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে বলেই জানিয়ে দিচ্ছেন হাথুরু, 'আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেটার মানে শুধু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই নয়। ফিল্ডিং সেটিংও আক্রমণাত্মক হতে পারে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব ধরনেই আমরা এই ছাপটা রাখার চেষ্টা করব।'
'