• ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    'ব্যাটিং-উইকেট', 'পেসার-নির্ভরতা'- বিশ্বকাপের যে বাস্তবতা এখনই দেখতে পাচ্ছেন তামিম

    'ব্যাটিং-উইকেট', 'পেসার-নির্ভরতা'- বিশ্বকাপের যে বাস্তবতা এখনই দেখতে পাচ্ছেন তামিম    

    প্রায় সাত বছর পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। চোখ রাঙাচ্ছে দেশের মাটিতে নয় বছর পর দেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাইয়ের শংকা। তবে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে বাংলাদেশ কতটা কী করতে পারবে সেটা উঠে যাচ্ছে। কাল সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল স্বীকার করলেন, বিশ্বকাপে যেমন কন্ডিশন থাকবে, তাতে তাদের আরও অনেক উন্নতি করতে হবে। 

    ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল দেশের মাটিতে। সেটি এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। এরপর ঠিক পূর্ণশক্তির দল নিয়ে না এসেও সেই ইংল্যান্ড আবার হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে, এবার প্রথম দুই ম্যাচেই নিশ্চিত সিরিজ। তখনকার ইংল্যান্ডের চেয়ে এবারের ইংল্যান্ডের বাস্তবিতা ভিন্ন, এখন ইংল্যান্ড দুই সংস্করণেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তামিমও বুঝলেন সেই বাস্তবতা, 'হ্যাঁ, আমরা বোধ হয় দেশের মাটিতে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের কাছেই হেরেছি। এবারও হারলাম। আমাদের ওদেরকে হারাতে আরও উন্নতি করতে হবে।'

    তবে বড় ছবিটা হলো, বিশ্বকাপের বাকি মাত্র সাত মাস। এই একটা আসরে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে ভালো কিছু করার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সবসময়েই নিজেদের সমীহ করার মতো শক্তি মনে করে, কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে মিরপুরের সেই টিপিক্যাল উইকেটে লড়াই করেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এমন উইকেটেই অবশ্য মিরপুরে অনেক দিন ধরে খেলছে বাংলাদেশ, হারিয়েছে ভারতের মতো শক্তিকেও। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তুলনামূলক ভালো ব্যাটিং উইকেটে নিজেদের দৈন্যদশা প্রকাশ পেয়েছে প্রকটভাবে। তামিম জানেন, বিশ্বকাপে ব্যাটিং উইকেটি থাকবে। সেখানে যা করার পেসারদেই বেশি করতে হবে, 'বিশ্বকাপে আমরা স্পিনিং ট্র্যাক পাব না। সেখানে পেসারদের কাছ থেকে সাহায্য লাগবে।' স্বীকার করলেন, বিশ্বকাপের জন্য আরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে, 'আপনি যদি বিশ্বকাপের একটা পর্যায়ে যেতে চান, সেটা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল তাহলে আপনাকে আরও উন্নতি করতে হবে।'

    বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মতো আসরে ব্যাটিং উইকেটে এখনো স্বচ্ছন্দ নয়। প্রতিপক্ষ ৩০০ রান করে ফেললে সেটা তাড়া করার মতো নিয়মিত সামর্থ্য এখনো অর্জিত হয়নি। যদিও বিশ্বকাপে সেটা নিয়মতই করতে হবে। আবার সেখানে পেসারদের ভালো করতে হলে তাসকিন আহমেদ ছাড়া আপাতত ভরসা করার মতো কেউই নেই। সাথে তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের মতো অভিজ্ঞরা বোঝা হয়ে যাচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। সব মিলে তামিমের সামনে কঠিন সময়ই অপেক্ষা করছে।