• ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    সিলেট স্ট্রাইকার্স থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দল: যেভাবে হৃদয়ের কাছ থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন শান্ত

    সিলেট স্ট্রাইকার্স থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দল: যেভাবে হৃদয়ের কাছ থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন শান্ত    

    খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে দুজন জুটি বেঁধেছিলেন। শুধু জুটি বাঁধা বলা ভুল হবে, বিপিএলের সবচেয়ে সফল জুটিই সম্ভবত ছিলেন তারা। বিপিএলে এমন জুটি হয়ই, কিন্তু বাংলাদেশে সেটা জাতীয় দলে অনূদিত করার রেকর্ড খুব বেশি নেই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় সেই কাজটাই করেছেন এবার, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাদের জুটিটাই আজ বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত করেছে। বিপিএলের জুটিটা জাতীয় দলে নিয়ে আসার সেই গল্পই শান্ত আজ বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে। 

    শান্তর সময়টা গত কিছুদিন ধরেই ভালো যাচ্ছে বেশ। দারুণ সফল বিপিএলের পর ওয়ানডেতে দুই ম্যাচে পেয়েছেন ফিফটি, এই সংস্করণে এর আগে কোনো ফিফটি ছিল না তার। টি-টোয়েন্টিতে আরও দুর্দান্ত শান্ত আজ। শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী, মার্ক উডের বলে টানা চারটি চার মেরেছেন। মাত্র ২৭ বলে ফিফটি করেছেন, ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। 

    তবে ক্রিকেটে ম্যাচ জেতায় জুটি, আর শান্তর সাথে তাল মিলিয়ে চলেছেন তৌহিদ হৃদয়। দুজন জুই বাঁধার সময় লিটন-রনিকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে হৃদয় আর শান্ত ৬৫ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ৩৯ বলে। সেটাই বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত করে দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বললেন, হৃদয়ের ইনিংসটা তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে বেশ, 'যেটা ভালো লেগেছে হৃদয়ের যে অ্যাপ্রোচ ছিল সেটা দেখেই আমি কনফিডেন্স পেয়েছি। এরকম বড় দলের বিপক্ষে ও একদমই নার্ভাস ছিল না। মনে হচ্ছিল না ও প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে। বিপিএলে আমরা একসাথে বেশ কিছু বড় জুটি গড়েছি। আজকেও সেটা করতে পেরেছি। '

    বিপিএলে সিলেটের হয়ে শতরানের জুটি ছিল দুজনের। আজকের জুটি অত বড় না হলেও ছিল ম্যাচ জেতানো। শান্ত বললেন, তাতে অবদান ছিল দলের ড্রেসিংরুমের। নতুন হলেও হৃদয় খুব দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছেন দলের সাথে। যেটা কাজে দিয়েছে দুজনের জুটিতে।

    প্রথম ম্যাচের পর শান্ত এখন আশাবাদী, এই সিরিজে তাদের জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে, 'ওয়ানডে দল যেভাবে ভালো করছে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি দলও ওরকম ভালো অবস্থায় যাবে। এখন যে অবস্থা আছে তাতে আমাদের সিরিজ জেতা উচিত। আমাদের বিশ্বাস ছিল এক দুইটা ভালো জুটি গড়লে আমরা জিততে পারব। বোলিংয়ের শেষ দিকে আমাদের ওই আত্মবিশ্বাস এসেছে।'