• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর ২০২৩
  • " />

     

    গরমের সাথে শান্তর লড়াই ছিল নিজের সাথেও

    গরমের সাথে শান্তর লড়াই ছিল নিজের সাথেও    

    নাজমুল হোসেন শান্ত হতাশ হতেই পারেন। কাল টেস্টে যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে ডাবল সেঞ্চুরিও খুব বেশিদূর মনে হচ্ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেমে যেতে হলো ১৪৬ রানে। তবে শান্তর সেটা নিয়ে হতাশা নেই, যেটা করেছেন তার ভাষায় তিনি তাতে সন্তুষ্ট। জানিয়ে দিলেন, বাইরে দেখে কাজটা সহজ মনে হলেও সেটা সহজ ছিল না। প্রচণ্ড গরমের সাথে লড়াইটা ছিল নিজের সাথেও। 

    শান্তর হতাশ হওয়ার কারণটা বেশিই হওয়া উচিত আরেকটি বড় কারণে। আউটের কয়েক বল আগেই নিজাত মাসুদের বলে বোল্ড হয়েছিলেন পুল করতে গিয়ে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ডিপ মিডউইকেটে।

    শান্ত অবশ্য 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে বললেন, যতটা হয়েছে তাতে তিনি খুশি। ইনিংস আরও বড় করা উচিত ছিল অবশ্যই, কিন্তু যা হয়েছে তাতে তার অতৃপ্তি নেই। বাইরে থেকে দেখে অবশ্য যতটা সহজ মনে হয়েছে, শান্ত বললেন তার কাজ এতোটা সহজ ছিল না, 'আমার কাছে কাজ সহজ মনে হয়নি। আমি যে পরিকল্পনায় ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলাম, সেটা শুধু এক্সিকিউট চেষ্টা করেছি এবং পরিষ্কার ভাবনা ছিল, আমি কী করতে চাই। এজন্য মনে হয় আপনাদের কাছে সহজ লেগেছে। কিন্তু প্রথম থেকেই আমি কষ্ট করেই ব্যাটিং করেছি।'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ রান বলে যে কিছু নেই, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন, 'আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি যতটুকু খেলেছি, কাউকেই দুর্বল মনে হয়নি। প্রত্যেক দলের সঙ্গেই কষ্ট করে রান করতে হয়েছে। আর ওরাও তো পরিকল্পনা করেই বোলিং করেছে। '

    গরমও ছিল কাল বড় একটা ব্যাপার। শান্ত বললেন, গরম নিয়ে তাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল। বরং এই গরমে আফগান বোলাররা যেভাবে বল করেছেন, তাতে তাদের কৃতিত্বও দিলেন। তবে তার সাথে শান্তর বড় লড়াই ছিল নিজের সাথে। গত কয়েক মাসে যেভাবে সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন, তার আরেকটি বড় ধাপ এই ইনিংস। টেস্টে অনেক দিন ধরেই ভালো করতে পারছিলেন না। সেই চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। আর মাস ছয়েক আগেও যখন নানা সমালোচনা সইতে হয়েছিল সেটাও মনে আছে তার, 'অম্নেকে তো অনেক রকম কথা বলে। কিন্তু সেসব পাত্তা দেইনি। আমি আমার ফোকাস ঠিক রেখে কাজ করে গেছি।'

    গরম আর আফগান বোলারদের পাশাপাশি শান্তর যুদ্ধ ছিল নিজের সাথেও।