• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর ২০২৩
  • " />

     

    টেস্ট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে তৃতীয় বৃহত্তম, কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই জয় কেন সবার চেয়ে এগিয়ে?

    টেস্ট ইতিহাসে রানের ব্যবধানে তৃতীয় বৃহত্তম, কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই জয় কেন সবার চেয়ে এগিয়ে?    

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের জয় বাংলাদেশের ইতিহাসের তো বটেই, রানের ব্যবধানে টেস্ট ইতিহাসেরই তৃতীয় বৃহত্তম জয়। তবে এক হিসেবে এটাই আধুনিক ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডই। কারণ আগের দুই টেস্ট ছিল টাইমলেস টেস্টের সময়। 

    টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিল এর আগে ২২৬ রানের, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে আজ ৫৪৬ রানের জয়টা ভেঙে ফেলল অনেক রেকর্ড। এশিয়ার কোনো দলের সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে টেস্ট জয়ের রেকর্ড এটা। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড আছে দুইটি। সবচেয়ে বড় যেটি, ১৯২৮ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৬৭৫ রানের সময় টেস্টের বাঁধাধরা পাঁচ দিনের হিসেব ছিল না। খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে পারত। এই টেস্ট শুরুর প্রথম দুই দিন পর ছিল রেস্ট দে। এরপর আরও তিন খেলা হওয়ার পর ফল আসে, যেটাতে অস্ট্রেলিয়া হেরে যায় বিশাল ব্যবধানে। ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৭৪২ রানের টার্গেটে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায় ৬৬ রানে। আরও একটা কারণে সেই টেস্ট বিখ্যাত, স্যার ডব ব্র্যাডম্যানের সেটি ছিল অভিষেক টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ১৮ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন ব্র্যাডম্যান। 

    এরপর ছয় বছর পর ওভালে ইংল্যান্ডকে জবাব দেয় অস্ট্রেলিয়া। এবার অস্ট্রেলিয়ার ৭০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ১৪৫ রানে। এবারও প্রথম দিনের পর একদিন রেস্ট ডে ছিল। চতুর্থ দিনে এসে শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। 

    এরপর ক্রিকেটে পাঁচদিনের নিয়ম আসে। টাইমলেস টেস্ট শেষ হয় ১৯৩৮ সালে। তার পর বাংলাদেশই রানের ব্যবধানে এত বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল। এমনকি আধুনিক ক্রিকেটে ৫০০ রানের জয়ের রেকর্ডও নেই কোনো দলের। একটু মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, ইনিংসের ব্যবধানে বা উইকেটের ব্যবধানেও বড় জয়ের রেকর্ড আছে। তাই এই জয়কে শুধু রানের ব্যবধানেই তিন নম্বরে রাখা হয়েছে।