• আফগানিস্তানের বাংলাদেশ সফর ২০২৩
  • " />

     

    রশিদ-জুজু নিয়ে ভাবছেন না সাকিব, 'তামিম-কান্ড প্রভাব ফেলেনি দলের ওপর'

    রশিদ-জুজু নিয়ে ভাবছেন না সাকিব, 'তামিম-কান্ড প্রভাব ফেলেনি দলের ওপর'    

    ওয়ানডে সিরিজ শেষেও বাংলাদেশের সামনে বড় প্রশ্ন, টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানকে সামলাতে পারবে তো? শেষ ওয়ানডেতে রশিদ খেলেননি, কিন্তু তার আগের দুই ম্যাচে রশিদ-ফারুকী-মুজিবই সর্বনাশ করেছেন বাংলাদেশের। সাকিব অবশ্য বলছেন, আপাতত কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে ভাবছে না দল।

    আজ সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব রশিদের নাম না উল্লেখ করেই বললেন, 'গত দুইটা হোম সিরিজেই আমরা ভালো খেলেছি। এটা আমাদের জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তান অবশ্যই খুবই ভালো দল। চেষ্টা থাকবে যেভাবে ক্রিকেটটা খেলছি, যেভাবে উন্নতি করছি সেভাবেই পারফর্ম করার। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমাদের দলও নির্দিষ্ট কারও ওপর নির্ভর করে না। দলীয় পারফরম্যান্সেই যেন জিততে পারি। 

    কোনো ইন্ডিভিজুয়াল খেলোয়াড় নিয়ে আমরা ভাবিনি। কেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে সে অনুযায়ী সবাই ব্যক্তিগতভাবে কাজ করবে, আমি নিশ্চিত। এটা কাউকে বলার বিষয় না। টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম খুব জরুরী। আমরা কীভাবে খেলাটা শুরু করি এটা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। ব্যাটিং বা বোলিং যাই করি ভালো শুরু গুরুত্বপূর্ণ। '

    এর মধ্যেই অবশ্য তামিম ইকবালের অবসর নাটকের জন্য একদফা নাটক হয়ে গেছে। সাকিব অবশ্য বলছেন, ড্রেসিংরুমের অবস্থা আগের মতোই আছে,' আসলে বাইরে থেকে দেখে অনেক কিছু মনে হতে পারে। ড্রেসিংরুমে আমার কখনোই মনে হয় না আমরা আনসিকিউরড ছিলাম কিংবা এখন আছি। আমি মনে করি পরিবেশ সবসময় ভালো আছে। ফলাফলের কারণেই আপনারা সবসময় বলেন ড্রেসিংরুমের অবস্থা ভালো না খারাপ। আমার কাছে মনে হয় না জিতি বা হারি ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুব একটা পরিবর্তন হয়। আমাদের চেষ্টা থাকে সবসময় ইতিবাচক খেলে উন্নতি করার, দলের হয়ে অবদান রাখার। '

    টি-টোয়েন্টি সিরিজে চ্যালেঞ্জটা দেখছেন আরও বড়, 'প্রতিটা সিরিজই চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি হয়। কারণ এখানে সব দলেরই সমান চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোট দল বড় দল বলে কিছু নেই। যেকোনো দল যেকোনো দলকে হারানোর সক্ষমতা রাখে। এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করার বিষয়। চ্যালেঞ্জই এই ফরম্যাটকে উপভোগ্য করে তোলে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুইটা ম্যাচ আছে, কন্ডিশন নিয়ে আমরা আসলে খুব বেশি চিন্তা করছি না। এর সবচেয়ে বড় কারণ দুই দলের জন্যই কন্ডিশন সমান। আমার মনে হয় না এখন আমরা এমন কোনো দল যে কন্ডিশন থেকে ফায়দা লুটতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল যেকোনো কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে, যেকোনো দলের বিপক্ষে কম্পিটিটিভ ক্রিকেট খেলতে ক্যাপেবল। 

    আমরা দল হিসেবে তখনই ভালো খেলি যখন অন্য দলকে নিয়ে চিন্তা না করি। যখন ওপেন মাইন্ডেড থাকি, নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি তখন আমাদের দল পারফর্ম বেশি করে। তখনই নার্ভাস থাকি বা ভালো করতে পারি না, যখন কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষ নিয়ে বেশি চিন্তা করি। তাই এই জিনিস যত কম করতে পারি ততই ভালো। '