• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ১০ জন নিয়ে নিউক্যাসলকে বধ করল 'নুনেজীয়' লিভারপুল

    ১০ জন নিয়ে নিউক্যাসলকে বধ করল 'নুনেজীয়' লিভারপুল    

    নিউক্যাসল ১:২ লিভারপুল 


    ম্যাচের আগে সেন্টার-ব্যাক ইব্রাহিমা কোনাতের ইনজুরি, ম্যাচের শুরুতে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ডের ভুলে গোল হজম, এরপর অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকের লাল কার্ড দেখা। সেইন্ট জেইমসেস পার্কে দুঃস্বপ্নের মতো এক শুরুর পরও ১০ জন নিয়েই লড়াই চালিয়ে গেছে লিভারপুল। শেষ ১০ মিনিটে বদলি নামা ডারউইন নুনেজের জোড়া গোলে গোলে তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক এক জয়। 

    এটাই যেন প্রিমিয়ার লিগের সৌন্দর্য। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখা আলেকজান্ডার আর্নল্ডকে দ্বিতীয় হলুদ দেখানোর জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যেই জোরালো একটি আবেদন করে নিউক্যাসল। লিগের সবচেয়ে প্রতিকূল স্টেডিয়ামগুলোর একটি হিসেবে খ্যাত জেইমসেস পার্কও তখন বাঘের মতো গর্জনে জেগে উঠে। শুরুর এই ঘটনার জন্য নার্ভাস হয়েই কি না, ২৫তম মিনিটে রক্ষণে বল খুইয়ে বসেন ট্রেন্ট। আর সেই বল নিয়ে বক্সে ঢুঁকে গোল করেন বসেন অ্যান্থনি গর্ডন, যার জন্য এই ম্যাচ একটা ডার্বি। লিভারপুলের জন্মানো এই সাবেক এভারটন তারকা উদযাপনেই তা বুঝিয়ে দেন। লিভারপুলের দুঃস্বপ্নকে চূড়ান্ত করতে ২৮ মিনিটে ভ্যান ডাইককে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে বসেন রেফারি। বক্সের সামনে ইসাকের উপর করা চ্যালেঞ্জে বল জিতলেও পায়ে আঘাত করেছিলেন ভ্যান ডাইক। সেই চ্যালেঞ্জকেই সরাসরি গোল দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করার দোষ দেখে লাল কার্ড দেখান রেফারি। 

    পূর্বের ম্যাচেও এরকম এক বিতর্কিত লাল কার্ডের জন্য দীর্ঘসময় ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে লিভারপুলের। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই ম্যাচেও ১০ জনে মানিয়ে নেয় সফরকারীরা। প্রথমার্ধের বাকি সময় নিউক্যাসল একের পর এক আক্রমণ করলেও তা প্রতিহত করতে সমর্থ হয় তাদের মেকশিফট ডিফেন্স। 

    দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে লিভারপুল। বাড়তে থাকে তাদের বলের দখল। তবে এই অর্ধেও সিংহভাগ আক্রমণ নিউক্যাসলই করে। গর্ডন, উইলসনদের লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের পর ৭৬ মিনিটে রাইট উইঙ্গার আল মিরনের নেওয়া বাঁকানো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। 

    ৭৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ডারউইন নুনেজ। সঙ্গে সঙ্গেই যেন বদলে যায় খেলা। ডারউইনের ক্ষিপ্রগতি ও আনপ্রেডিকটেবল অ্যাটাকিং রানের জন্য হঠাৎ করেই আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায় সফরকারীদের। দুটি বিপজ্জনক অ্যাটাকিং রান নেওয়ার পর মাঠে নামার চতুর্থ মিনিটেই পুরো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিয়ে গোল করে বসেন নুনেজ। বটম্যানের কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢুঁকে বুলেটগতির এক শটে পোপকে পরাস্ত করেন তিনি। যোগ করা সময়ে প্রায় একই রকম আরেক রানে বক্সের প্রায় একই জায়গা থেকে দ্বিতীয় গোল করেন নুনেজ। শুরুতে অসম্ভব মনে হওয়া এক ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।