• নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে ফিলিপস-তাণ্ডব, শেষ বিকেলে নিউজিল্যান্ডের জোড়া আঘাত

    বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে ফিলিপস-তাণ্ডব, শেষ বিকেলে নিউজিল্যান্ডের জোড়া আঘাত    

    ২য় টেস্ট, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, মিরপুর (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ১৭২ ও ৩৮/২ (জাকির ১৬*, শান্ত ১৫, সাউদি ১/৮, আজাজ ১/১৩)  
    নিউজিল্যান্ড - ১৮০ (ফিলিপস ৮৭, জেমিসন ২০, মিচেল ১৮, মিরাজ ৩/৫৩, তাইজুল ৩/৬৪, শরিফুল ২/১৫)
    ৩য় দিন, স্টাম্পস
    বাংলাদেশ ৩০ রানে এগিয়ে


     

    দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিন সকাল থেকেও জেগেছিল সেই শঙ্কা। পুরো দিন বৃষ্টিতে পণ্ড না হলেও বৃষ্টি বারবারই দিয়েছে বাধা। তারই মাঝে তাণ্ডব চালিয়ে গ্লেন ফিলিপস প্রায় একা হাতেই নিউজিল্যান্ডকে লিড এনে দিয়েছিলেন। সেই লিড টপকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই খেলা শেষের আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে দুই ব্যাটারকে।

    অথচ এরকম আঘাত হানার স্বপ্ন বুনেই বাংলাদেশ আজ নেমেছিল মাঠে। তবে মেঘলা  আকাশের নিচে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন ফিলিপস। এই মাঠে যে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার উপায় নেই সেটা বুঝেই মিচেল-ফিলিপস জুটি আক্রমণের পথে হাঁটলে বাংলাদেশের বোলাররাও কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায়। নাঈমকে পরে আক্রমণে আনা হলে ১৮ রানে থাকা মিচেলকে ফিরিয়ে সাথে সাথেই ফল এনে দেন এই অফ স্পিনার। তবে উইকেটটার কৃতিত্ব আসলে দিতে হয় মিরাজকে। লং অন থেকে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিরাজ নিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। সেখান থেকে বাংলাদেশের মরণ কামড় দেওয়ার সুযোগ থাকলেও জেমিসন এসে কিউই ব্যাটিংয়ে স্থিতিশীলতার আভাস দিলে সেটা কাজে লাগিয়ে ফিলিপস আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন। কিছু আধা সুযোগ দিয়ে বেঁচে গেলেও সরে আসেননি আক্রমণের পথ থেকে। সেই সুবাদেই টানা ছয়-চারে মাত্র ৩৮ বলে তিনি তুলে নেন ফিফটি।

    ফিলিপসের প্রতি আক্রমণে স্পিনের পন্থা থেকে সরে এসে শরিফুলকে আক্রমণে ফেরানো হলে স্লিপে দীপুর দারুণ ক্যাচে জেমিসন থামেন ২০ রানে। উইকেটে এসেই সাউদি স্পিনারদের ওপর চড়াও হওয়ার বার্তা দিলে ফিলিপসও চালিয়ে যান তার স্বভাবসুলভ খেলা। তখনই বেরিয়ে যাওয়া দারুণ এক বলে ফিলিপসকে থামান শরিফুল। ৭২ বলে ৮৭ রান শেষে ফিলিপস সেঞ্চুরির দুয়ার থেকে ফিরলেও নিউজিল্যান্ডকে ঠিকই লিড এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাইজুলের শিকার হয়ে ১৪ রানে সাউদি থামলে নিউজিল্যান্ড পায় ৮ রানের লিড। তবে ওই সেশনে ১২৫ রান তুলে নিউজিল্যান্ড যে লিড পাবে সেটাই হয়ত প্রথম দিনের শেষ সেশনের পর ছিল কল্পনার বাইরে।

    ছোট হলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে কার্যকর সেই লিডের আত্মবিশ্বাস থেকেই দুই স্পিনার দিয়ে শুরু করে শুরুতেই সাফল্য পায় কিউইরা। আজাজের আগের বলটা পড়তে না পেরে দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়। তবে সেখান থেকে জাকির-শান্তও ফিলিপসের মত হিসেব করে আক্রমণের পথে হাঁটলে দুই স্পিনারের পন্থা থেকে দ্রুতই সরে এসে নিজেকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক সাউদি। লাইন খুঁজে পেতে কিছুটা সময় নিলেও প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে ঠিকই ফেরান অভিজ্ঞ এই পেসার। অবশ্য উইকেটটার জন্য নিজেকেই দুষবেন শান্ত। ভালো শুরু করেও ১৫ রানে থাকার সময় উইলিয়ামসনকে মিড অফে ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে তিনি ফেরার কিছুক্ষণ পরেই খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ড হয়ত এগিয়ে থাকার একটা আশ্বাস নিয়ে পরের দিনটা শুরু করবে।