নিয়ন্ত্রিত বোলিং, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
২য় টি-টোয়েন্টি, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
শ্রীলঙ্কা - ১৬৫/৫, ২০ ওভার (কামিন্দু ৩৭, কুশল ৩৬, ম্যাথিউজ ৩২, সৌম্য ১/৫, তাসকিন ১/৩৮, মাহেদী ১/৩৯)
বাংলাদেশ - ১৭০/২, ১৮.১ ওভার (শান্ত ৫৩*, লিটন ৩৬, হৃদয় ৩২, পাথিরানা ২/২৮)
ফলাফল - বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তীরে এসে তরী ডুবানোর আক্ষেপ পুষে না রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয়টা বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল দ্বিতীয় ম্যাচেই। পুরো দল একসাথে জ্বলে উঠে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য এদিন ছোট হলেও একেবারেই সোজা বলা যায় না। আর লক্ষ্যটা সীমার মধ্যে রাখাটার কৃতিত্ব বাংলাদেশ নিজেদেরই দিবে। দারুণ বোলিং থেকে উদ্দীপ্ত হয়ে ব্যাটিংয়েও বাংলাদেশ দেখাল সমান দক্ষতা। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই .ছিল প্রশ্ন। বিনুরার বল সৌম্য সরকারের ব্যাটে চুমু খেয়ে উইকেটের পেছনে গিয়েছিল বলেই দেখা যাচ্ছিল রিপ্লেতে। বড় স্ক্রিনে ডিআরএস রিভিউ দেখে সৌম্য হাঁটাই ধরেছিলেন। অথচ কোনও এক অজানা কারণে সেবার সৌম্যকে দেওয়া হল নট আউট। উদ্ভট সেই সিদ্ধান্তে শ্রীলঙ্কার খেলয়াড়েরা ক্রুদ্ধ হলেও নির্বাক হয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। সেটার সুযোগ নিয়ে লিটনের সাথে জুটি গড়ে সৌম্য দলকে ভালো একটা ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। ৬৮ রানের জুটি ভেঙে সৌম্যের বিদায়ে অবশ্য এদিন বাংলাদেশ ছিল অবিচল। লিটন দাস ভালো শুরু এনে দিয়ে ইনিংস বড় করতে না পারলেও তার ৩৪ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক শান্ত। শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে হৃদয়ও এদিন ভালোভাবেই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন। দুজনেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে না গিয়ে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে চেষ্টা করেছেন, সেটাতে সফলও হয়েছন। শেষটা শান্ত করেছেন ছয় দিয়ে; সেই সাথে দলের জয়ের পাশাপাশি ৩৮ বলে নিজের ফিফটিটাও পেয়ে গিয়েছেন।