• শ্রীলংকার বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    'বদলি' তামিমের পর রিশাদের ঝড়ো ক্যামিওতে সিরিজ বাংলাদেশের

    'বদলি' তামিমের পর রিশাদের ঝড়ো ক্যামিওতে সিরিজ বাংলাদেশের    

    ৩য় ওয়ানডে, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা (টস-শ্রীলঙ্কা/ব্যাটিং)
    শ্রীলঙ্কা - ২৩৫, ৫০ ওভার  (লিয়ানাগে ১০১, আসালাঙ্কা ৩৭, মেন্ডিস ২৯, তাসকিন ৩/৪২, মিরাজ ২/৩৮, মোস্তাফিজ ২/৩৯)
    বাংলাদেশ - ২৩৭/৬, ৪০.২ ওভার (তামিম ৮৪, রিশাদ ৪৮*, মুশফিক ৩৭*, কুমারা ৪/৪৮, হাসারাঙ্গা ২/৬৪)
    ফলাফল - বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী


     

    দোর্দণ্ড প্রতাপে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। টস জিতে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিং নেওয়া সত্ত্বেও বল হাতে তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে দারুণ এক রান তাড়ায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।
     

    ২৩৬ রানের লক্ষ্যে সৌম্য সরকারের কনকাশন সাব হিসেবে নেমে শুরু থেকেই দারুণ কিছু করার ইঙ্গিত দেন তানজিদ হাসান তামিম। প্রমোদ মাদুশানের করা ৪র্থ ওভারে এক চার, দুই ছয়ে ১৫ রান নিজের ব্যাটিংয়ের মনোভাবটা বুঝিয়ে দেন তামিম। নবম ওভারে কুমারার শিকার হয়ে আনামুল হক বিজয় ১২ রানে ফেরার পর অধিনায়ক শান্তও ব্যর্থ হলেও তামিম তাই ছিলেন অবিচল। ৫২ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আপন গতিতে। তবে ১০৫/২ থেকে হুট করেই ১৩০/৫ বাংলাদেশের স্কোরকার্ড হয়ে উঠে তামিমের বিদায়েই।
     

    ৮১ বলে ৮৪ রানে থাকার সময় হাসারাঙ্গার বলের লেংথ পড়তে না পেরে লং অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে থামেন তামিম। সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে মুশফিক পরিস্থিতি সামাল দিলেও ২৫ রানে মিরাজ থামায় ম্যাচে আবারও ভারসাম্য চলে আসে। তবে ম্যাচের পেন্ডুলাম নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নিতে একেবারেই সময় নেননি রিশাদ। লঙ্কান বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে অনায়াসেই ম্যাচ বের করে আনেন রিশাদ। হাসারাঙ্গাকে এক ওভারেই দুই ছয়, এক চার মেরে লঙ্কানদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ম্যাচ বাংলাদেশের হতে যাচ্ছে। সেই হাসারাঙ্গার পরের ওভারেই নিজেকে আরও এক দফা উপরে নিয়ে গেলেন রিশাদ। দুই ছয়, তিন চারে ২৪ রান নিয়ে ওই ওভারেই লঙ্কানদের কফিনে পেরেক ঠুকে দেন। রিশাদের ১৮ বলে ৪৮* রানের দুর্দান্ত ক্যামিওর সাথে মুশফিকের ৩৬ বলে ৩৭* রানে তাই এরপরের ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।  

    এর আগে নিজেদের কাজটা দারুণভাবে করার জন্য বোলারদেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। দ্বিতীয় ওভারেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নিসাঙ্কাকে হালকা ভেতরে ঢোকা বলের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। নিসাঙ্কাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলার পরের ওভারেই আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফেরান তাসকিন। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার উপর চেপে বসে মোস্তাফিজ পেয়ে যান সামারাভিক্রমার উইকেট। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে তারা। মাঝের ওভারগুলোতে বিশেষ করে মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত। তবে স্রোতের বিপরীতে একজন দেয়াল হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার জন্য। যেখানে বিশ ছুঁতেই বেগ পেতে হচ্ছিল তার সাথে খেলা ব্যাটারদের সেখান লিয়ানাগে সেঞ্চুরি করে থাকলেন শেষ পর্যন্ত। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের তিন জন ইনজুরিতে মাঠ ছেড়েছিলেন। যার মধ্যে সৌম্য ও মোস্তাফিজকে নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। তবে তাদের এই ইনজুরি বা লিয়ানাগের ১০২ বলে ১০১* রানের দারুণ ইনিংস - কোনোটাই বাংলাদেশের জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।