• প্রীতি ম্যাচ
  • " />

     

    যেমন গেল আন্তর্জাতিক বিরতি

    যেমন গেল আন্তর্জাতিক বিরতি    

    ইউরোপের ঠাঁসা সুচির ভিড়ে আন্তর্জাতিক বিরতি খেলোয়াড়দের জন্য অনেকাংশেই স্বস্তি হয়ে আসে। অবশ্য দেশের হয়ে ডাক পাওয়াদের জন্য সেই জায়গাটা তো হয়ত নেই; তবে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে সেই আক্ষেপটাও হয়ত থাকে না। সেই সাথে এই সময়ে ইনজুরিতে পড়লে ক্লাবগুলোর আবার অভিযোগের কমতি থাকে না। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বিরতি নিয়ে সবসময়ই এক ধরনের দোলাচল থাকেই। সেসব ছাপিয়ে দর্শকদের জন্য এবারের বিরতিটা যেন এক প্রকার আশীর্বাদ হয়েই এসেছিল। উত্তেজনায় ঠাঁসা এক বিরতিতে বেশ কিছু বড় ম্যাচ দর্শকদের রাত জাগাটাও সার্থক করেছে বলা চলে। এক নজরে বড় দলগুলোর ফলাফলগুলোতে আগে তাই চোখ বুলিয়ে আসা যাক।

     

    পর্তুগাল ৫-২ সুইডেন

    ভেনেজুয়েলা ১-২ ইতালি


     

    স্পেন ০-১ কলম্বিয়া

    নেদারল্যান্ডস ৪-০ স্কটল্যান্ড


     

    আর্জেন্টিনা ৩-০ এল সালভাদর

    ইংল্যান্ড ০-১ ব্রাজিল

    ফ্রান্স ০-২ জার্মানি


     

    ইতালি ২-০ ইকুয়েডর


     

    স্পেন ৩-৩ ব্রাজিল

    ফ্রান্স ৩-২ চিলি

    স্লোভেনিয়া ২-০ পর্তুগাল

    জার্মানি ২-১ নেদারল্যান্ডস

    ইংল্যান্ড ২-২ বেলজিয়াম

    আর্জেন্টিনা ৩-১ কোস্টারিকা


    প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক বিরতি ইঙ্গিত দিচ্ছিল দারুণ কিছুর। সুইডেনের শক্তিমত্তা পেলেদের সময়ের মত না হলেও নেহাত ফেলনা নয়। সেই সুইডেনের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে রোনালদো-বিহীন পর্তুগাল পেয়েছিল বড় জয়। সেখান থেকেই কথা উঠে গেল - রোনালদোকে ছাড়াই কি পর্তুগাল আরও বেশি শক্তিশালী? বিশেষ করে রাফায়েল লিয়াও, ব্রুনো ফার্নান্দেসরা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছিলেন তা অসাধারণ বলা চলে। এই দুজনের পাশাপাশি নুনেস, ২০০৭ সালের পর রোনালদো ছাড়া এই প্রথম পর্তুগালের সাত নম্বর জার্সি গায়ে চড়ানো ব্রুমা ও গনসালো রামোস গোল পাওয়ায় পর্তুগাল তাই পেয়েছিল বড় জয়। তবে এরপর বড় চমক দেখিয়েছিল কলম্বিয়া। টানা ২০-তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতে কোপার জন্য নিজেদের শক্ত দাবিদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা, সেটাও এবার স্পেনকে হারিয়ে!

    এরপরের গল্পটা অবশ্য তরুণদের জন্যই বলা চলে। ফুটবলের ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছিল তাদের প্রত্যেকেই এবার নিজেদের মেলে ধরেছেন। একই দিনে জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মত শুরু করেছিলেন দুই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ ইংল্যান্ডের কোবি মাইনু ও আর্জেন্টিনার আলেহান্দ্রো গারনাচো। মাইনু তো বেলজিয়ামের বিপক্ষে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্পেনের লামিন ইয়ামাল ও ব্রাজিলের এন্ড্রিক। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুজনে যেন ভবিষ্যৎ এল ক্লাসিকোর মহড়াই দিলেন।

    ১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিকের কথাই বলা যাক। ওয়েম্বলিতে যখন ইংলিশ রক্ষণের গেরো খোলাই দায় হয়ে গিয়েছিল তখনই বদলি নামার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোলের দেখা পেলেন, ব্রাজিল জিতল ওই এক গোলেই। পরের ম্যাচে যখন নামলেন তখন ২-১ গোলে পিছিয়ে ব্রাজিল। নামার পাঁচ মিনিটের মাথায় বক্সের ভেতরে দারুণ এক ভলিতে দলকে সমতায় ফেরালেন। এরপর রদ্রি তার দ্বিতীয় পেনাল্টিতে ম্যাচ যখন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল তখন অবশ্য শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে জয় এনে দিয়েছিলেন পাকেতা। তবে সেই ম্যাচে ইয়ামাল যেভাবে ব্রাজিলের রক্ষণ নাচিয়েছন তার জন্য মাদ্রিদে দর্শকরা উঠে করতালি দিয়ে তাকে অভিবাদন জানাতে বাধ্য হয়েছে।

    তেমনি মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার জয় বের করে আনতেও খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি। কোস্টারিকার বিপক্ষে অবশ্য পিছিয়ে পড়েছিল তারা। তবে ডি মারিয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের সাথে লতারোর গোলে ফেরায় দুই ম্যাচে জয় দিয়েই বিরতি শেষ করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।