• ইউরো ২০২৪
  • " />

     

    ইউরো গ্রুপ ডি: ফেবারিট ফ্রান্স, ডাচদের অগ্নিপরীক্ষা?

    ইউরো গ্রুপ ডি: ফেবারিট ফ্রান্স, ডাচদের অগ্নিপরীক্ষা?    

    ফ্রান্স

    র‍্যাংকিং ২

    নিসন্দেহে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। গত দুই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট, দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স এখন সকল টুর্নামেন্টেই অটো-ফেবারিট। দেশমের অধীনে এমবাপে-গ্রিজমানরা কখনোই ঠিক বাজে ফর্মে ছিল না। তাদের সাম্প্রতিক ফর্মও যথারীতি দারুণ।

    র‍্যাংকিংয়ে ইউরোপের শীর্ষতম দল, গত ১০ ম্যাচে মাত্র দুটিতে হারের মুখ দেখেছে ফ্রান্স। তবে সমস্যা হচ্ছে, এই দুটি ম্যাচই আবার টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশ জার্মানির বিপক্ষে।

    শক্তি 

    বলতে পারেন ইউরোপের সবচেয়ে কমপ্লিট ফুটবল দল। মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ‘২২ বিশ্বকাপের মতোই থাকছে। রক্ষণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। 

    দুর্বলতা 

    দৃশ্যমান কোনো দুর্বলতা নেই এই দলের। তবে মূল একাদশে আবার জিরুর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। 

    কোচ 

    ২০১৪ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার থেকে বাদ পড়ার পর চারটি বড় প্রতিযোগিতার তিনটিতেই ফাইনাল খেলেছে দেশমের দল। ফ্রান্স তো বটেই, আন্তর্জাতিক ফুটবলেরই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল কোচদের একজন তিনি।

     

    নেদারল্যান্ডস 

    র‍্যাংকিং ৭ 

    জার্মানিতে এর আগে যে’কটি বড় টুর্নামেন্ট হয়েছে সবগুলোতেই ভালো করেছে নেদারল্যান্ডস। ৭৪ বিশ্বকাপে রানার আপ, এবং ৮৮ ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন; বলতে পারেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে হল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দুই সাফল্যই এসেছে প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে। কিন্তু এবার সেরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। 

    গতবছর ডাগ-আউটে রোনাল্ড কোমান ফেরার পর খুব একটা উন্নতি দেখেনি ডাচরা। তাদের সর্বশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে ৪টি ছিল বড় দলগুলোর বিপক্ষে। ৪টিতেই হেরেছে তারা।

    শক্তি 

    ভ্যার্জিল ভ্যান ডাইকের নেতৃত্বাধীন তিনজনের ডিফেন্সিভ লাইন এখনো নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। 

    দুর্বলতা 

    কিন্তু গোলপোস্টের সামনে রিলায়েবল কেউ নেই তাদের। পিচের মাঝখানে ডি ইয়ংকে সঙ্গ দেওয়ার মতো এলিট কোনো মিডফিল্ডার নেই। সামনেও একই অবস্থা, মূল স্ট্রাইকার ডিপাই বেশ ইনজুরি-প্রোন, দলে নেই কোনো ভালো উইঙ্গার।  

    কোচ 

    রোনাল্ড কোমান শীর্ষ পর্যায়ের কোচিংয়ে আছেন প্রায় তিন যুগ ধরে, ২০১৮ সালে প্রথমবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার হাত ধরেই আবার বড় টুর্নামেন্টগুলোয় ফিরেছে ডাচ শিবির। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় এখনো কোনো আশার আলো দেখাতে পারছেন না, তার রক্ষণশীল এপ্রোচ নিয়েও আছে সমালোচনা।    

     

    অস্ট্রিয়া 

    র‍্যাংকিং ২৫  

    অস্ট্রিয়া ঠিক কখনোই বড় পাওয়ারহাউজ ছিল না। তবে সর্বশেষ ৪ ইউরোর ৩টিতে কোয়ালিফাই করেছে তারা। এর কোনোটিতেই যদিও শেষ ষোলো পেরোতে পারেনি। 

    ২০২২ সালে রালফ রায়নিক দায়িত্ব নেওয়ার পর অবশ্য তাদের ফুটবল বদলে গেছে। ‘২২-এর নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচে হার, এই সময়ে জার্মানি, ইতালির মতো পরাশক্তিদেরও হারিয়েছে তারা। দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়ই বুন্দেসলিগার, রায়নিকের রেড বুল ব্র্যান্ডের ফুটবলের সঙ্গেও আগে থেকেই পরিচিত তারা। এ সব অভিজ্ঞতা নিয়ে জার্মানিতে পা রাখতে যাওয়া অস্ট্রিয়ানরা এ আসরের সবচেয়ে বড় ডার্ক হর্স।  

    শক্তি 

    ব্যক্তিগত শৈলির চেয়ে টিম এফোর্টই মুখ্য এই দলে। রায়নিকের হাই-প্রেসিং, হাই-ইনটেনসিটি ফুটবল তাদেরকে ভালোই সাফল্য দেখাচ্ছে।

    দুর্বলতা 

    দলের দীর্ঘদিনের মেইন-ম্যান ও অধিনায়ক ডেভিড আলাবা এবার থাকছেন না ইনজুরির জন্য। 

    কোচ 

    কোচিং পেশায় আছেন ৪০ বছর ধরে। রালফ রায়নিককে বলা হয় গ্যাগেনপ্রেসিংয়ের গুরু। ট্রফি কেবিনেট তেমন সমৃদ্ধ না হলেও তিনি ইউরোপের সবচেয়ে রেসপেক্টেড কোচদের একজন। সম্প্রতি বায়ার্ন মিউনিখকে নাকচ করে অস্ট্রিয়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

     

    পোল্যান্ড 

    র‍্যাংকিং ২৮

    সর্বশেষ চার ইউরো ও দুই বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণ করেছে পোল্যান্ড। কাতার বিশ্বকাপে কঠিন এক গ্রুপে পড়লেও পরের পর্বে উঠেছিল তারা। সেটাকে সার্বিকভাবে সাফল্য হিসেবে দেখা হলেও রক্ষণাত্মক মানসিকতার জন্য দেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে পোল্যান্ড। এর রেশ ধরে তৎকালীন ম্যানেজারকে বাদ দিয়ে পর্তুগালের ফার্নান্দো সান্তোসকে দায়িত্ব দেয় পোলিশ ফেডারেশন। কিন্তু তার অধীনেও কোনো উন্নতি না আসায় তাকেও বরখাস্ত করা হয়। নতুন কোচকে নিয়ে পোল্যান্ডের এই কঠিন গ্রুপ পেরোনোর সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ।

    শক্তি 

    দলের রক্ষণ ও আক্রমণের মধ্যে একটি ভারসাম্য আছে। 

    দুর্বলতা 

    সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা মিডফিল্ড। একই সাথে রক্ষণকে সাহায্য করা ও সামনে লেভান্ডফস্কিকে প্রোভাইড করার মতো কোনো মিডফিল্ড কম্বিনেশন এখনো তৈরি করতে পারেনি তারা।

    কোচ 

    মিখাল প্রবিয়েজ দীর্ঘদিন কোচিং করিয়েছেন পোল্যান্ডের শীর্ষ ডিভিশনে, ‘২২ এ পোল্যান্ড অনুর্ধ্ব-২১ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে পেয়েছেন সিনিয়র দলের দায়িত্ব। সাধারণত প্রতিপক্ষ দলের শক্তি-দুর্বলতার উপর নির্ভর করে ট্যাকটিক্স গুছিয়ে থাকেন।