• ইউরো ২০২৪
  • " />

     

    ইউরো গ্রুপ ই: আন্ডারডগদের গ্রুপ?

    ইউরো গ্রুপ ই: আন্ডারডগদের গ্রুপ?    

    বেলজিয়াম 

    র‍্যাংকিং ৩ 

    গ্রুপের সবচেয়ে বড় পাওয়ার-হাউজ, বেলজিয়াম বর্তমানে একরকম ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের গোল্ডেন জেনারেশনের যুগ শেষ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপেই, যেখানে গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ে তারা। এরপর ম্যানেজার রবার্তো মার্টিনেজ বরখাস্ত হন, অবসর নেন ইডেন হ্যাজার্ডসহ দলের বেশ কয়েকজন তারকা।

    নতুন কোচ ডমেনিকো তেদেস্কো আরেকটি ট্যালেন্টেড প্রজন্মকে ইন্টিগ্রেট করছেন তার দলে। লুকাকু-ডি ব্রুইনাদের সঙ্গে ডকু-ওনানার মতো নতুনদের নিয়ে গড়া এই দল বাছাই পর্বে অপরাজিত থেকে ইউরোতে এসেছেন।

    শক্তি 

    এখনো আক্রমণভাগই বেলজিয়ামের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। ফ্রন্টম্যান রোমেলু লুকাকু ইউরো বাছাইয়ে সবোর্চ্চ গোল করেছেন, তার সঙ্গী উইঙ্গাররাও দারুণ এফিসিয়েন্ট। মিডফিল্ডেও যথেষ্ট ভারসাম্য খুঁজে পেয়েছে বেলজিয়াম।

    দুর্বলতা 

    ম্যানেজারের সঙ্গে বিরোধের জন্য দলে নেই কর্তোয়া, যাকে আপনি বিশ্বের শ্রেষ্ট কিপার বলতে পারেন। বেলজিয়ামের রক্ষণের অবস্থাও খুব একটা সুবিধার না।

    কোচ 

    খেলোয়াড় হিসেবে পেশাদার ফুটবল খেলেনইনি, কিন্তু ম্যানেজার হিসেবে যথেষ্ট আধুনিক ডমেনিকো তেদেস্কো। শালকে, লাইপজিগের মতো ক্লাব ম্যানেজ করেছেন। ডাটা-কেন্দ্রিক এপ্রোচ, এবং হাই-ইনটেনসিটি ফুটবলে বিশ্বাসী, তার ট্যাকটিক্স ইউরোতে চমক দেখাতে পারে।   

     

    স্লোভাকিয়া 

    র‍্যাংকিং ৪৮   

    গ্রুপের একমাত্র দল, যাদের টুর্নামেন্ট জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু ১৯৭৬ সালে যখন তারা ইউরো জিতেছিল তখন দেশটির নাম ছিল চেকোস্লোভাকিয়া। ‘৯৩ এর দেশভাগের পর ২০ বছর ইউরোতে কোয়ালিফাই-ই করেনি স্লোভাকিয়া। তবে ‘১৬-র পর এ নিয়ে টানা তৃতীয় ইউরোতে খেলছে তারা। নতুন ম্যানেজার কালজোনার অধীনে তাদের এই দলও যথেষ্ট স্পিরিটেড ফুটবল খেলছে।  

    শক্তি 

    রক্ষণ ও মিডফিল্ডার প্রায় খেলোয়াড়ই দীর্ঘদিন ধরে এই দলে খেলছেন। নিজেদের রোল নিয়ে তারা ভালোই সচেতন। 

    দুর্বলতা 

    সামনে বিশ্বস্ত গোলস্কোরার নেই। ইউরো বাছাইয়ে স্লোভাকিয়ার কেউ ৩টির বেশি গোল পায়নি। 

    কোচ 

    ১৫ বছর সহকারী কোচ থাকার পর একসাথে দুটি প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়ে বসেন ফ্রান্সেসকো কালজোনা। গত মৌসুমে এই জাতীয় দলের পাশাপাশি নাপোলিকেও ম্যানেজ করেছেন তিনি। স্লোভাকিয়ার প্রথম বিদেশী কোচ হিসেবে শুরুতে একটু তোপের শিকার হলেও দ্রুতই দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন।   

     

    রোমানিয়া 

    র‍্যাংকিং ৪৬   

    এর আগে পাঁচবার ইউরোতে খেললেও মাত্র একবারই গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছে রোমানিয়া। গিওর্গি হাজিদের সেই যুগের পর দীর্ঘদিন ইরেলিভেন্ট ছিল রোমানিয়া, তবে তাদের নতুন প্রজন্ম আবার শোর তোলা শুরু করেছে। গত ইউরো এবং সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপ দর্শক হিসেবে দেখার পর আবার ইউরোপের বড় আসরে ফিরছে রোমানিয়া। সোনালি প্রজন্মের মতো তুখোর না, তবে এই দলও ডিসেন্ট ফুটবল খেলছে।  

    শক্তি 

    বলের দখল তেমন রাখতে না পারলেও কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ ভয়ঙ্কর রোমানিয়া। 

    দুর্বলতা 

    প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার কথা চিন্তা করেই হয়তো প্রায় সময় রক্ষণশীল সেটাপে খেলে রোমানিয়া, যেখানে চাইলেই তাদের ডমিনেট করা সম্ভব।  

    কোচ 

    কিংবদন্তি রোমানিয়ান কোচ আঙ্গেল ইয়োর্দেনেস্কুর ছেলে এডওয়ার্ডও রোমানিয়ান ফুটবলে বেশ রেসপেক্টেড ম্যানেজার। ‘২১-এ লিগ জেতার পর জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে আবার ফিরিয়েছেন বড় আসরে।   

     

    ইউক্রেন 

    র‍্যাংকিং ২২   

    এ নিয়ে টানা চতুর্থ ইউরোতে অংশগ্রহণ করছে ইউক্রেন। গত ইউরোতেই তারা কোয়ার্টারে খেলেছে, যা এই টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের জন্য দেশের লিগ ফুটবল বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, জাতীয় দলও গত দেড় বছরে দুবার ম্যানেজার বদলেছে। তবে দিনশেষে যুদ্ধক্ষেত্রের মতো ফুটবল মাঠেও আত্মসমর্পন করেনি ইউক্রেণীয়রা। দেশকে একটি স্মরণীয় টুর্নামেন্ট উপহার দেওয়ার পণ নিয়েই এবার জার্মানিতে আসছেন জিনচেঙ্কোরা।

    শক্তি 

    রোমানিয়ার মতো এই দলও আক্রমণে কাউন্টারের উপর নির্ভরশীল।

    দুর্বলতা 

    রক্ষণশীল ফুটবল খেললেও বর্তমান কোচের অধীনে ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে ক্লিনশিট রেখেছে ইউক্রেন। রক্ষণ তাদের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথার নাম। 

    কোচ 

    সার্হি রেবভ খেলোয়াড়ি জীবনে ডিনামো কিয়েভে কিংবদন্তি শিভচেঙ্কোর সঙ্গে খেলেছেন। জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা। পরে ম্যানেজার হিসেবেও ডিনামোকে জিতিয়েছেন দুটি লিগ শিরোপা। জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও প্রথম এটেম্পেই দলকে ইউরোতে এনেছেন।